অসহায় অবলা নারী
-আশীষ খীসা
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
অসহায় অবলা নারী পেয়েছো বলে
আজি আমায় করেছো তোমরা ধর্ষণ,
আজ আমি তোমাদের কারণে হয়েছি কলঙ্কিত
তাই নেই আমার উপর কারোর আকর্ষণ।
আমি আজ অবহেলিত ও নির্যাতিত
পাপের বোঝা নিয়ে পথে পথে ঘুরি,
নেই সমাজে ও দেশে আইনের সঠিক বিচার
তাই দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে অপরাধের ঝুড়ি।
গুটি কয়েক অপরাধী দোষী সাব্যস্ত হয়ে
শাস্তি হলেও রাঘব বোয়ালরা পড়েনা সহজেই ধরা,
প্রকৃত দোষী ও অপরাধীরা যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে
বেরিয়ে যেতে না পারে তাই করতে হবে আইন কড়া।
আইন ও বিচার বিভাগে থাকতে হবে অবাধ,স্বচ্ছতা,
ন্যায়পরানয়তা,বস্তুনিষ্ঠ,নিরপেক্ষতা ও দূর্নীতিমুক্ত,
নিরপরাধ সহজ-সরল মানুষ যেন না হয় কখনও
অহেতুক আইনের কাঠগড়ায় অভিযুক্ত।
আমি অসহায় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতিত নারী
আমার পক্ষে কথা বলার সমাজে নেই কেউ,
মানুষের থেকে উধাও হয়ে গেছে মনুষ্যত্ব ও মানবতা
তাই আজ মানুষ করে কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ।
সমাজের কতিপয় চরিত্রহীন কুলাঙ্গার লোকের জন্য
আজ আমার কোলের নিষ্পাপ সন্তান বাবা হারা,
আমি ধিক্কার জানাই এসব জঘন্য নর পশুদের
তাদের কারণে আমি আজ অসহায় ও স্বামীহারা।
ফুলের মত অবুঝ নিষ্পাপ সন্তান আজ জারজ সন্তান
সে চিনেনা তার বাবার পরিচয়,কে তার বাবা?
এই সুন্দর ভুবনে সে আজ ভুক্তভোগী ও পাপের ফসল
চিনেনা বাবা আসল না নকল,চিনে শুধু জন্মদাতা মা।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি :
কবি আশীষ খীসা,পিতা – বিনয় কান্তি খীসা, মাতা – গোপা দেবী খীসা,জন্ম- রাঙ্গামাটি সদর। স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-তুলাবান,ডাকঘর-মারিশ্যা, উপজেলা-বাঘাইছড়ি,জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।তিনি ১৯৭০ সালে ৩১শে আগষ্ট এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এড.ও এম.এড. (১ম শ্রেণি)ডিগ্রী অর্জন করেন।তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল – আলীকদম উপজেলা,জেলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা। তাঁর যৌথ কাব্যগ্রন্থ ১৬টি।যৌথ কাব্যগ্রন্থগুলো হলোঃ
১।মানিক রতন,২।কাব্যময় কথা,৩।শতবর্ষী মুজিব,
৪।কবিতা মনের কথা বলে,৫।যদি তুমি জানতে,
৬।৬৪ জেলার নির্বাচিত কবি-২,৭।সাতরঙ,
৮।মায়াবতীর নীল কাব্য,৯।ডাক বাংলা কাব্যকুঞ্জ,
১০।বায়ান্ন থেকে একাত্তর,১১।স্বপ্নের ডাক বাংলা,
১২।সাহিত্য ম্যাগাজিন সূর্যকিরণ,১৩।বন্ধুর বন্ধনে
প্রয়াস,১৪।নিঝুম রাতের কাব্য,১৫।সূর্যকিরণ ও
১৬।শত স্মৃতির কাব্যমালা।
তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক,ছড়াকার,গীতিকার ও শিল্পী। তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন,ম্যাগাজিন ও পত্রিকার সাথে জড়িত আছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য এ যাবত প্রায় চার হাজার সম্মাননা সনদ অর্জন করেছেন।তিনি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের কলকাতা থেকে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য নেতাজী সুবাষ চন্দ্র বসু পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ সম্মাননা পদক পান।