ঈশ্বরও শান্তি চায় না

-আবুল হাসমত আলী

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

শান্তির কথা এখন কেউ শুনতে চায় না।

তাই শান্তির কথা বলতে চাইলে

এ সমাজে তার ঠাঁই হয় না।

অতীতেও শান্তির বার্তা ছড়ানো যেত না লোকালয়ে।

মুনি ঋষিরা যেতেন দুর্গম পর্বতে।

বুদ্ধ গিয়েছিলেন বোধগয়াতে।

আর মোহাম্মদ গিয়েছিলেন হীরা পর্বতে।

তাদের সে শান্তির বার্তা এসেছে মানবের কাছে,

তবে তা এসেছে গ্রন্থের মাধ্যমে।

শান্তি এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।

কারণ সুবিধাবাদী শ্রেণী সর্বদা শান্তিকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

স্বয়ং ঈশ্বর শান্তিকে পছন্দ করেন না।

তাই শান্ত পৃথিবীতে অস্থির প্রাণ সঞ্চার করেছেন।

তারপর থেকে ক্রমশ শান্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

শান্তির প্রতীক পরিযায়ী পাখিরা আর আসে না।

শান্তি খুঁজতে মানুষ করছে জল্পনা।

শান্তি পেতে মানুষ যেতে চায় চাঁদে কিংবা মঙ্গলে।

কিন্তু সেখানেও প্রতিযোগিতায় হচ্ছে শান্তি বিঘ্নিত।

আসলে শান্তি হচ্ছে একটা কাল্পনিক বিষয়।

তা বিরাজ করে শিল্প, সাহিত্য, কাব্য চর্চায়।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি প্রত্যাশি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*