শেষ পরিণতি
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
মৃত্যুই মোদের জীবনের যে শেষ পরিণতি
জীবন চিঠির শেষ পাতে লেখা হবে ইতি।
অনেক তো হয় নিত্যদিনের কুশল বিনিময়
অন্তহীন আত্মা ব্যতীত শুধু নশ্বর দেহ পড়ে রয়।
ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ সকলি ছাড়া জন্মান্তর লক্ষ্য
স্বর্গ নরক রসাতল সকলি মননে অজ্ঞাত মন্তব্য।
বহুরূপী মানবের সাঙ্গ করে রূপকের খেলা
পরপারে চলে যেতে হবে অন্তীমের সেই বেলা।
কিসের জন্য এত হানাহানি, অর্থ নিয়ে টানাটানি
অগ্নিকুণ্ডের লেলিহান শিখায় জ্বলবে এক্ষুণি।
কবরে ধীর লয়ে জারিত হব লবন জারক রসে
মনে কি কেউ রাখবে ? দিয়েছে মাটি ভালোবেসে।
বিস্মৃত হবে সন্তান – সন্ততি, স্ত্রীর প্রেম ভালবাসা
গঙ্গার জলে অস্থি দিয়ে ছবিতে দেবে ফুলমালা ।
নামের শুরুতে ঔ বসিয়ে সকলে বলবে স্বর্গীয়
ভোটার, আধার কার্ড আঙুল ছাপ সবই হবে নিষ্ক্রিয়।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । ছদ্ম নাম ” সরাক কবি ” । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত আছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
প্রথম কাব্য গ্রন্থ অনুভব ,অনুরণন ও অপরাহ্নের প্রেয়সী ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , অনুরাগ ( হাইকু শৈলীতে ) , অনুভূতি ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , অনুভা ( অনুভাষ শৈলীতে ) কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে ।
দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক বাংলা সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে এযাবৎ বিভিন্ন শারদীয়া, ত্রৈমাসিক, মাসিক, ও ই-পত্র পত্রিকায় কবিতা, পরমাণু গল্প, অনু গল্প ও প্রবন্ধ, রম্যরচনা, সংলাপ প্রকাশিত হয়ে আসছে। গুগল সার্চ করে নাম লেখে ইমেজে ক্লীক করে লেখা পড়ে দেখতে অনুরোধ করি। একাধিক যৌথ সংকলনের পাশাপাশি থেকে কবিতার পাতা ডট কমে নিয়মিত কলম ধরে চলেছেন। সকল প্রিয় পাঠকবৃন্দকে জানাই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ।
এগিয়ে চলুন