আমি বঙ্গবন্ধুর আত্মা বলছি

-আশীষ খীসা

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

এই যে শুনো,নরখাদক নরপিশাচের দল

আমি বঙ্গবন্ধুর আত্মা বলছি,

ষড়যন্ত্র করে স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করছো

আমি কবর থেকে সব দেখছি ও শুনছি।

সংস্কৃতি,ভাষা,জাতি তথা দেশের জন্য

কতো যে আমি আত্মত্যাগ করেছি,

কি অপরাধ ও দোষ করেছি আমি,যার জন্য

১৫ই আগস্ট নির্মমভাবে তোমাদের হাতে খুন হয়েছি।

তোমরা আমাকে খুন করেছো করেছো

আমার পরিবার-পরিজনকে বাঁচতে দিলেনা,

আমার ছোট্ট সোনা রাসেল বাঁচার জন্য আকুতি

জানালেও তোমরা তাঁকেও রেহাই দিলেনা।

১৫ই আগস্টের মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের

কথা আমার আত্মা এখনও ভুলেনি,

এই জঘন্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনেকেই

ফাঁসিতে জ্যান্ত মরেছো পাপ তোমাদের ছাড়েনি।

যারা এখনও এই ধরায় বেঁচে আছো

তোমরাও ধুঁকে ধুঁকে কষ্টে একদিন মরবে,

অসহ্য যন্ত্রণায় তোমাদের প্রাণের বিনাশ হবে

আমার আত্মা তোমাদের এই করুণ দৃশ্য দেখবে।

এই যে শুনো,বিশ্বাসঘাটক দেশদ্রোহী

আমি বঙ্গবন্ধুর আত্মা বলছি,

মরেও কবরে পাচ্ছোনা তোমরা একটুও শান্তি

তোমরা কষ্ট পাও আমি তোমাদের অভিশাপ দিচ্ছি।

তোমরা দেশ ও জাতিকে কলঙ্কিত করেছো

তোমরা দেশ ও জাতির মহাশত্রু ও বেঈমান,

আমি আজ মরেও আমার কীর্তি ও মহানুভবতা

আমাকে করেছে মহান ও চির অম্লান,

আর তোমাদের কুর্কীতি তোমাদের করেছে

খুনি,অপরাধী,কুলাঙ্গার,নরপশু ও অপমান।

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

 কবি পরিচিতি :

কবি আশীষ খীসা,পিতা – বিনয় কান্তি খীসা, মাতা – গোপা দেবী খীসা,জন্ম- রাঙ্গামাটি সদর। স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-তুলাবান,ডাকঘর-মারিশ্যা, উপজেলা-বাঘাইছড়ি,জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।তিনি ১৯৭০ সালে ৩১শে আগষ্ট এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এড.ও এম.এড. (১ম শ্রেণি)ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল – আলীকদম উপজেলা,জেলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা। তাঁর যৌথ কাব্যগ্রন্থ ১৬টি।

তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক,ছড়াকার,গীতিকার ও শিল্পী। তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন,ম্যাগাজিন ও পত্রিকার সাথে জড়িত আছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য এ যাবত প্রায় চার হাজার সম্মাননা সনদ অর্জন করেছেন।তিনি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের কলকাতা থেকে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য নেতাজী সুবাষ চন্দ্র বসু পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ সম্মাননা পদক পান।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*