বিষণ্ন সমুদ্র যাত্রা ক’রে এসেছি
-অভিজিৎ হালদার
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
বিষণ্ন সমুদ্র যাত্রা করে এসেছি সূর্যোদয়ের আগে
অনেককটি ঝরে যাওয়া জীবন্ত বসন্তের আগে নতুবা
সরীসৃপের শীতঘুম ভাঙার আগে।
আমার শরীরে বিষাক্ত ব্যাঙেদের রক্ত কিংবা নীল তিমির চঞ্চল ফুসফুস
আবার এ’ও হতে পারে চিংড়ির হৃদপিন্ড আমার।
হে পৃথিবীর মানব আমি বিষণ্ন সমুদ্র যাত্রা ক’রে এসেছি
পথ ভুল করে যে জোনাকিরা আলোর শহরে গেছে
তারা আর ফিরে আসেনি কভু হারিয়ে গেছে চিরতরে।
মাথার সিঁথি বেয়ে নেমে গেছে কত বিনিদ্র রজনী
এমনি করে একুশটি জীবন্ত বছর হারিয়ে গেছে।
মৃত্যুতে যারা রঙ করেনি জন্মকে করেছে অভিশাপ
তাঁদের আমি ভালোবেসেছি বলিনি অভিনয়।
একশো ‘তারার’ সমুদ্র কিনে মৃত পাখির ডানায় রোদ্দুর জমিয়ে
চিনেছি অমানুষকে ⸺অমানুষ চিনতে ভালো লাগে
বেদনা তো অনুশোচনা নয় ! বিদ্বেষ নয়!
বিবাদের আঙ্গুলে চেতনার মুক্তিযুদ্ধ
বিষণ্ন সমুদ্র যাত্রা ক’রে এসেছি যবে
বহু জন্ম পর মুক্তির স্বাদ ছুঁয়ে দেখেছি মনে হয়
হিসেব রাখিনি হাতের উপরে লম্পট জীবনের।
হিসেব রাখা যায় না !!
চোখের ভিতর আমার যে মৃত ঘর তার বারান্দা একটাই
ঝিনুকের ভিতর যে মুক্তার পথ স্থিরতা
তার অধিকার আমার নয় !
বিক্ষোভের মিছিলে হেঁটে গেছে মানুষ ⸺ হাঁটতে পারিনা আমি
নেপথ্যে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ
বিবর্ণ রঙের ফানুস ওড়ানোর বাহানায়।।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
লেখক পরিচিতি:-
জন্ম:- লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত হাঁসখালী ব্লকের মোবারকপুর গ্রামে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে। পিতা:- কার্ত্তিক হালদার, মাতা:- আরতি হালদার, শিক্ষা:- মোবারকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাজনঘাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অনার্সের ছাত্র। লেখালেখির সূএপাত: স্কুল জীবন থেকে।
লেখালেখি:- বিভিন্ন – পএ পত্রিকা, ম্যাগাজিন , ওয়েবজিন, ফেসবুক পেজ/ ফেসবুক গ্রুপ , ব্লগসাইট , ওয়েবসাইট , অনলাইন প্লাটফর্ম , এছাড়া বিভিন্ন ফোরামে।
বই:- “প্রথম আলো”(২০২১)