নির্যাতনের স্বীকার

-আশীষ খীসা

∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞

প্রত্যেক মানুষ কমবেশি শারিরীক

ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়,

কেউ জন সম্মুখে কেউ অন্তরালে

এটি সর্বজনবিদিত তা কি সত্যি নয়?

অনেকেই লজ্জায় কিংবা ভয়ে

তা সহজেই প্রকাশ করেনা,

প্রকাশ করেও বা লাভ কী

সঠিক বিচার তো পাবেনা।

নিরবে গুমড়ে গুমড়ে কষ্ট

করে হজম করে নেয়,

মনের অপ্রত্যাশিত দুঃখগুলো

মনেতে বাধ্য হয়ে পুষে নেয়।

বুক ফেটে যায় অসহ্য যন্ত্রণায়

তবু সাহস নিয়ে খুলে বলেনা,

মনের বেদনার সাথে করে বসবাস

তবুও কাউকে প্রকাশ করতে চায়না।

আবার কিছু কিছু মানুষ আছে

মনের কথা সব খুলে বলে,

সুখের হোক কিংবা দুঃখের হোক

অতি সহজ-সরল মনে চলে।

নির্যাতনের সাথে অমানবিকতা জড়িত

পাশাপাশি জড়িত পশুত্বভাব,

নির্যাতনকারীর থাকে রাগ,লোভ,

ঘৃণা,শত্রুতা ও সর্বোপরি জ্ঞানের অভাব।

∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞

সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিতি :

কবি আশীষ খীসা,পিতা – বিনয় কান্তি খীসা, মাতা – গোপা দেবী খীসা,জন্ম- রাঙ্গামাটি সদর। স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-তুলাবান,ডাকঘর-মারিশ্যা, উপজেলা-বাঘাইছড়ি,জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।তিনি ১৯৭০ সালে ৩১শে আগষ্ট এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এড.ও এম.এড. (১ম শ্রেণি)ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল – আলীকদম উপজেলা,জেলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা। তাঁর যৌথ কাব্যগ্রন্থ ১৬টি।যৌথ কাব্যগ্রন্থগুলো হলোঃ

১।মানিক রতন,২।কাব্যময় কথা,৩।শতবর্ষী মুজিব, ৪।কবিতা মনের কথা বলে,৫।যদি তুমি জানতে, ৬।৬৪ জেলার নির্বাচিত কবি-২,৭।সাতরঙ, ৮।মায়াবতীর নীল কাব্য,৯।ডাক বাংলা কাব্যকুঞ্জ, ১০।বায়ান্ন থেকে একাত্তর,১১।স্বপ্নের ডাক বাংলা, ১২।সাহিত্য ম্যাগাজিন সূর্যকিরণ,১৩।বন্ধুর বন্ধনে প্রয়াস,১৪।নিঝুম রাতের কাব্য,১৫।সূর্যকিরণ ও ১৬।শত স্মৃতির কাব্যমালা।

তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক,ছড়াকার,গীতিকার ও শিল্পী। তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন,ম্যাগাজিন ও পত্রিকার সাথে জড়িত আছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য এ যাবত প্রায় চার হাজার সম্মাননা সনদ অর্জন করেছেন।তিনি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের কলকাতা থেকে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য নেতাজী সুবাষ চন্দ্র বসু পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ সম্মাননা পদক পান।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*