কবিতার পাতা
-সত্যজ্যোতি রুদ্র
∞∞∞∞∞∞∞∞
দিনের পর দিন শুকায়ে যায়
আমার কবিতাবৃক্ষের পাতা,
দিনের পর দিন শুকায়ে যায়
যতনে গড়া সৃষ্টির মর্ম গাথা।
ছিলো সবুজ,ছিলো বর্ণিল,
ছিলো কারুকাজ, ছিলো স্বপ্নীল!
মৌসুমি বায়ে সতেজ ছিলো যে লতা
বৈখাখী ঝড়ে নুয়ে পড়েছে তারই মাথা।
অদৃশ্য বর্ণমালা দিচ্ছে হানা চিন্তা-চেতনায়,
তবুও বুনে যাই পোয়াতি চারা
প্রবল আবেগে–বাসনায়।
শেকড় থেকে শিখরের সব রস যাচ্ছে সরে,
অনাহুত দিনে বিড়ম্বনার রেশটি ধরে।
ফাগুনে যদি হাসে কভু প্রণয়ের ডাকে,
মলয়ে তারে যায় না ছোঁয়া অরূপে ঢাকে।
বিবর্ণ ডালে বাসা বাঁধে এক ভূতুড়ে পাখি,
অহর্নিশ জ্বালা ধরায় করে ডাকাডাকি।
শাখায়-শাখায়, লতায়-পাতায়,
নীরবে অভিমানে কত কী যে শোনায়!
আমি মালী গোড়ায় বসি ঢালি অশ্রুধারা,
তবও যে জাগে না আমার কবিতার চারা!
হয়ত হবে না সে কোনোদিন ফলবতী,
নিঃসাড় স্বপনে জাগায়ে বাড়াবে দুর্গতি।
হয়ত ফিরবে না জীবনের রূপ-রস -গন্ধ ধারায়,
ভয় হয় পাছে,
এমনি করে দিনের পর দিন
আমার কবিতার পাতারা সব শুকায়ে যায়!!
∞∞∞∞∞∞∞∞
পরিচিতি ঃ —
সত্যজ্যোতি রুদ্র, (সহকারী শিক্ষক), কণ্ঠ শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন,চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করি এবং টি,টি,সি চট্টগ্রাম থেকে বি,এড কোর্স অর্জন করি। একাধিক যৌথ ও একক কাব্যগ্রন্থে লেখার সুযোগ হয়েছে। বাবা –প্রয়াত শ্রী ব্রজেন্দ্র মোহন রুদ্র বি.এ. বি. এড। খুব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ববান ছিলেন।গানের কণ্ঠ ও তবলার হাতও ভালো ছিলো।কবিগানও গাইতেন।স্বনামধন্য ধর্মীয় প্রবক্তা ছিলেন।মা গৃহিণী ছিলেন।মায়ের কাছে আমার লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়েছিলো। বর্তমান নিবাসস্থল– গ্রাম-কাকারা, উপজেলা -চকোরিয়া,জেলা–কক্সবাজার।