আশ্বিনে পৌষের কথা
-মীর সেকান্দার আলী খোকা
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
এই আশ্বিনে নিশির শিন শিনীতে
শীতের আগাম ক্ষুদে বার্তা পাঠায়
পৌষের দীঘি।
মেঘের বরজ তারই বার্তা বহন ক’রে
ছুটে চলে মহিসুর হতে হিমালয়ে
রাতের স্বচ্ছ আকাশে তারকার মেলা
শরৎতের জানান দিয়ে পৌষের কথা
বলে।
চাঁদ দোলে মেঘ মুক্ত সু’নিপুণ নক্ষত্রে
এই আশ্বিনে নিশির শিন শিনীতে
শীতের আগাম ক্ষুদে বার্তা পাঠায়
পৌষের দীঘি ।
সু’নিপুণ নক্ষত্রে দোলে চাঁদ, এ্যতো স্বচ্ছতায়
এই পৌষে ঝরবে কি কোন প্রাণ? বৃদ্ধ – যুবক
অথবা শিশুর।
এই পৌঁষেই আছে মহারথী ঝালাই (১৪৩০বাংলা)
ভেসে আসবে বস্ত্রবিহীন গুদরিবিহীন
অঙ্গহীন নিথরদেহ শিশু -বৃদ্ধ অনেক
যুবকের রোল ।
মহারথী থাকবে তার নিশ্ছিদ্র পুষ্পালয়ে,
জানবে না
অথবা কর্নে তুলবে না’ সে’রোল ধ্বনি।
বেশ কিছু পরে পুষ্পে পুষ্পে দিগন্তে
ছেয়ে যাওয়া
পুষ্প কল্লোলে নেমে আসবে মহারথী
যে’ মালির ঘাম ঝরা শ্রমে সেজেছে পুষ্প
কানন
তার কথা মনে রাখবে না কেউ , হুকুমের দাস হয়ে
আজ্ঞাবহ গোলাম হয়ে চির অচেনার
অতল তলানিতে মিশে যাবে সে ।
মহারথীর বিজয় মুক্তা হাঁসির ঝিলিকে ভেসে যাবে
সব ক্লেস,
তখনও হৃদয় গহনে রক্তক্ষরণে ঝরবে হৃদয়
মালির হৃদয়ে।
হিসাবের খাতায় পাতায় পাতায় হয়’তো রয়ে যাবে
গোলামীর স্মৃতি,
স্মৃতি শুধু স্মৃতির পাতায় ফ্রেমবন্দী হবে ।
আসবে নতুন মালি-জন
মহারথীর অলিন্দে আবার ফুটবে ফুল ,গাইবে বিনা
ঝরবে বকুল কুসুম সাঁঝে।
যে গোলাম যে মালি যে জন হারিয়ে গেল
ফুটাতে ফুল মহারথীর অলিন্দ কাননে
সে’ কি ফিরবে কখনো কোন অবয়বে অথবা অশরীরী হয়ে,
হয়’ তো’বা’ না
তবুও আসবে পৌষ হাঁসবে মহারথী ঝরবে প্রাণ
ফুটবে ফুল মহারথীর অলিন্দে ।
শুধু ফিরবে না ওরা খুদি জন
মহারথীর হাঁসি ফুটাতেই হারিয়ে যাবে এ’ভাবেই,
আমিও থাকবো না কখনো , আসবো ‘না নিয়ে
আশ্বিনে পৌষের কথা।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
মীর সেকান্দার আলী খোকা, (প্লাটুন কমান্ডার), পিতা মৃত: মীর মোক্তার আলী, মাতা মৃত: লতিফা খাতুন, ১নং আনসার ব্যাটালিয়ন, ঠাকুরগাঁও সদর, ঠাকুরগাঁও। বিভিন্ন সময় যে পত্রিকা গুলিতে নিয়মিত কবিতা প্রকাশ পেয়েছে এবং প্রকাশিত হতো তার নাম:
(১) সাপ্তাহিক জনরব ঠাকুরগাঁও।
(২) দৈনিক উত্তরা দিনাজপুর ।
(৩) সাহিত্য পত্রিকা সংঙ্গা, দিনাজপুর।
(৪) মাসিক ম্যাগাজিন / সাহিত্য পত্রিকা একদিন প্রতিদিন , ঢাকা ।
(৫) দৈনিক সানসাহিন রাজশাহী।
(৬) প্রিয়তমেসু ৬ষ্ঠ খন্ডে একটি কবিতা স্থান পেয়েছিল ঢাকা।