খলসিডাঙ্গার কন্যা
-রবি বাঙালি
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
দুধে আলতা বরণ কন্যা
কোন গেরামে ঘর,
কেবা পিতা কেবা মাতা
নামধাম কিবা তোর।
খলসি ডাঙ্গা নদীর পাড়ে
নিতাই নগর নাম,
কানু মাঝি পিতা ধন- রে
মাতা সোনা ভান।
বাবা ময়ের চোখের মনি
দাদার বুকের সোনা,
নামটি আমার রুপা রাণী
খলসি ডাঙ্গা কন্যা।
তুমি কে গো নাগর কানাই
পিটি পিটি চাও?
রাস্তা ছাড়ো সন্ধ্যে বেলা
ঘরে যেতে দাও।
তোমার রুপে মুগ্ধ পরান
পথ ছাড়িতে পারি,
কাল বিকেলে হিজল তলে
আসলে পড়ে শাড়ি।
এমন করে বললে কথা
শরম ডোরে মরি,
গাঁয়ের লোকে দেখে ফেললে
কালির ভয় করি।
অনেক কথা এবার বলো
কোথায় তোমার দেশ,
নাম ধাম বললে নাতো
কালকে আসবো বেশ।
রইলাম চেয়ে মনাবেশে
অন্তর জুড়ে রেশ,
দু’জন কথার জাল বুনিবো
স্বপ্নের নেই শেষ।
খলিসা ডাঙ্গা কন্যা শোনো
বাড়ি জামাই দিঘা,
তছা শাহ,র বেটা রবি
জমি বিঘা বিঘা।
চাইনা গয়না,চাইনা জমি
মনটা শুধু চাইরে,
মনের ভিটায় প্রেমো তরে
একটু দিও ঠাঁইরে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি ঃ
রবি বাঙালি। প্রকৃত নাম মো. রবিউল আউয়াল। মোছা. হাজেরা খাতুন ও মো. তছলিম উদ্দিন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৭৫ সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্তর্গত নিতাইনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।বগুড়ার সান্তাহার এস এম আই একাডেমি হতে ১৯৯২ সালে এস এস সি, চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজ হতে ১৯৯৪ সালে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও এমএ( দর্শন) ডিগ্রি ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর ২৪ ব্যাচের একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি কলেজে যোগদানের মাধ্যমে অধ্যাপনা শুরু হয়।তিনি নিতাইনগর হাজেরা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাডেমিক ও গবেষণামূলক বহু গ্রন্থ প্রণেতা।তিনি প্রবন্ধ, গল্প,কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাস লেখন যা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি হাজেরা ফাউন্ডেশন এর মূখপত্র ‘ লিটারেচার রিভিউ ‘ শীর্ষক জার্নালের সম্পাদনা করেন।বর্তমানে তিনি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।