শ্রেষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী যাঁরা

-আশীষ খীসা

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

শিক্ষা পদক-২০২৩ইং বান্দরবান জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা ও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের অধিকারী হলেন যাঁরা,

নিশ্চয়ই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এঁরা কারা?

নাম যদি উল্লেখ করি এঁরা হলেন জয়নব আরা বেগম,

জাহানারা পারভীন লাকী ও উন্মেষন খীসা,

ভাগ্য যদি থাকে বিদেশ শিক্ষা সফরের জন্য

এখন থেকে প্রস্তুত করতে হবে পাসপোর্ট ও ভিসা।

স্বপ্ন আমাদের সকলের কিন্তু আকাশ ছোঁয়া,

যদি করেন সকলে আমাদের জন্য প্রার্থনা ও দোয়া।

শ্রেষ্ঠ হতে চাই আমরা আরও বিভাগীয় পর্যায়ে,

হবো হয়তো যে কেউ ভাগ্য যদি না পড়ে বিপর্যয়ে।

তাই সকল দিকে মোটামুটি প্রস্তুত আমরা,

নহে কিন্তু কোনদিকে আমরা খোঁড়া।

যাবো আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে,

আশা আছে একটা না হয় একটা জিততে।

আলীকদম উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার গর্ব,

মনে করা উচিৎ হবেনা এত আমাদের খর্ব।

জাতীয় পর্যায়ে আমরা প্রতিযোগিতা করতে চাই,

সাহস আছে আমাদের,ভয় কিন্তু কারোর নাই।

আমাদের জন্য কামনা ও দোয়া করেন ভাই,

বিভাগীয় পর্যায়েও অন্ততঃযে কেউ শ্রেষ্ঠ হতে চাই।

বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়ে ঢাকায় যেতে চাই,

আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো এছাড়া কোন গতি নাই।

≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅

সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিতি :

কবি আশীষ খীসা,পিতা – বিনয় কান্তি খীসা, মাতা – গোপা দেবী খীসা,জন্ম- রাঙ্গামাটি সদর। স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-তুলাবান,ডাকঘর-মারিশ্যা, উপজেলা-বাঘাইছড়ি,জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।তিনি ১৯৭০ সালে ৩১শে আগষ্ট এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এড.ও এম.এড. (১ম শ্রেণি)ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বর্তমান কর্মস্থল – আলীকদম উপজেলা,জেলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা। তাঁর যৌথ কাব্যগ্রন্থ ১৯টি এবং একক কাব্যগ্রন্থ ১টি। তিনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক,ছড়াকার,গীতিকার ও শিল্পী। তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন,ম্যাগাজিন ও পত্রিকার সাথে জড়িত আছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য এ যাবত অনলাইন ভিত্তিক কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রায় চার হাজার সম্মাননা সনদ পান।তিনি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের কলকাতা থেকে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য নেতাজী সুবাষ চন্দ্র বসু পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ সম্মাননা পদক পান।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*