ভাবছি আর লিখব না
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
নিত্য মনে করি ভালো কিছু তো করি
সমাজকে পারিনি যে কিচ্ছু দিতে
আমার অধীত অল্প বিদ্যা বুদ্ধিতে।
সাহিত্য সাগরে কুলোয় না তো তা ?
কি যে করি ? অন্তরে শুধু গুমরে মরি
আমি যেন খুবই সস্তা মানের কলমচি
যার কোন মূল্যায়ণ হয় না, হবেও না ।
আমি সরাক কবি অখ্যাত বেনামী
শব্দের অন্ত্য মিলে দুঃখের ছবি আঁকি।
সাহিত্য প্রেমীক কতশত বিদগ্ধ মানুষ
সুন্দর সুন্দর সাহিত্য সৃজন করে।
আমি গাল মন্দ খেয়েও চেষ্টা করি
পরিবারে অহরহ ঝগড়াঝাটি করি।
সেভাবে সু পাঠক হোতে না পারায়
হাত পাকে না যেন লেখা ঝোকায়।
ভাবছি আর আমি কখনো লিখব না!
মনে আনবো না কোন প্রতিবাদী যাতনা
এলোমেলো আজগুবি যত মনের ভাবনা
প্রতিবাদী লেখাতে আছে অনেক মানা।
কবিতা আমায় দাও গো তুমি চির বিদায়
আমি তোমাকে আর ভালো বাসবো না।
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । ছদ্ম নাম ” সরাক কবি ” । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত আছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
প্রথম কাব্য গ্রন্থ অনুভব ,অনুরণন ও অপরাহ্নের প্রেয়সী ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , অনুরাগ ( হাইকু শৈলীতে ) , অনুভূতি ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , অনুভা ( অনুভাষ শৈলীতে ) কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে ।এপার ওপার দুই বাংলার অনলাইন ও অফলাইন একাধিক সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রিয় কবি কেনএমন ভাবনা।