বিষণ্ণ রাতের তারা’গুলো
-অভিজিৎ হালদার
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
বিষণ্ণ রাতের তারা’গুলো কাঁদছে আকাশে
ভুলে যাওয়া জোনাকির অন্ধকার রাতের মতো
সূর্য রঙে ডুবে যাওয়া অতীত।
পাহাড়ের বদলে আকাশকে চেয়েছি জানতে
যে আকাশে মৃত চাঁদ তারা’গুলো জীবিত
সেই আকাশকে চেয়েছি জানতে।
দেশজুড়ে ভূমিভাগ নীল অপ্সরা সমালোচিত
বুকের সিলেবাসে ভূমিকা থাকে না তাঁদের
আঙ্গুলে থাকে হারিয়ে যাওয়ার প্রকট চিহ্ন
আমি তাঁদেরকে তাচ্ছিল্য জানিয়ে ফিরে আসি ঘরে।
পৃথিবীর সরু সরু পথ ধরে
শহীদ মিছিল —- জনতার ভিড় থাকে না
বিষণ্ণ রাতের তারা’গুলো কাঁদছে আকাশে
মানুষের পদদলিতে এরা মৃত।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বপ্নের বিন্দু ভালোবাসার জন্য প্রণদিত হতে চাই
কিন্তু উপযুক্ত ভূমিভাগ কোথায় ?
সবই তো নিলাম হয়ে গেছে প্রণয়ের ভাষালুটে মানুষেরা
স্বপ্নের মায়া ত্যাগ করে তবুও মানুষেরা এগিয়ে গেছে
সূর্য প্রণাম চরণেষু নবরূপী মহিমা জ্ঞানে।
চেতনা ঢের বেশি চেতনা তাড়া করে আজকের মানুষদেরকে
আর সেই ‘ই লাঞ্ছিত হয় মানুষই
দুর্বলের ফাঁক – ফোঁকড়ে বিষাক্ত কীটের বসতভূমি।
বিষণ্ণ রাতের তারা’গুলো কাঁদছে আকাশে
কয়েকটি নৌকার পাল ছিঁড়ে যাওয়া দুঃখের মতো
সমুদ্রের গর্জন পাহাড়ের ক্ষয় রাজনীতি বাড়ন্ত।
মহাশূন্য চোখে ভালোবাসার চন্দ্রগ্রহণ লাগে
চরিত্র বদলে যায় চেনা রঙ বিবর্ণ হয়
আর পৃথিবীর সমস্ত গোলাপ চাষের জমিতে ধুতরা ফুল ফোঁটে।
ঈগলের ডানা বেয়ে শকুনের চোখ মাংশ খোঁজে
ভাগাড়ে কোনো মৃতদেহ পড়ে থাকে না
কেননা সময়ের আগে নিখোঁজ সমস্ত মৃত প্রাণী।
পথের ভিতর পথ আর স্বপ্নের ভিতর স্বপ্ন
ছিদ্র পথে বিপ্লব আসে চেতনার শব্দ জোয়ারে
মানুষ বিব্রতের পথে হামাগুড়ি দেয়
বিন্দুমাত্র সহিষ্ণুতা থাকে না হৃদয়ে
ব্যর্থতার আগুনে মানুষ সাফল্যের মানচিত্র পুড়িয়ে ফেলে।।
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
লেখক পরিচিতি:-
জন্ম:- লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত হাঁসখালী ব্লকের মোবারকপুর গ্রামে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে। পিতা:- কার্ত্তিক হালদার মাতা:- আরতি হালদার
শিক্ষা:- মোবারকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাজনঘাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিভাগের অনার্স স্নাতক।
লেখালেখির সূএপাত: স্কুল জীবন থেকে।
লেখালেখি:- বিভিন্ন – পএ পত্রিকা, ম্যাগাজিন , ওয়েবজিন, ফেসবুক পেজ/ ফেসবুক গ্রুপ , ব্লগসাইট , ওয়েবসাইট , অনলাইন প্লাটফর্ম , এছাড়া বিভিন্ন ফোরামে।
বই:- “প্রথম আলো”(২০২১)