মায়াবৃত্ত
-রবি বাঙালি
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবিকে একদা এক ছায়া হাত বাড়ায় বলেন এসো
জীবন মিছে শুধু মায়া,
জন্ম আর মৃত্যুর মাঝামাঝি যে জগত আর কালটা
মরু মরিচিকার ছায়া।
দীর্ঘশ্বাসে কবি বলেন এই যে সবুজ তরু পাখির গীতি
নদীর কল্লোলিত ধারা,
ঊষা ও গোধূলির আবির রাঙা আহ! কী অপরূপ
রহো কিসে এতো তাড়া।
মলিন মুখে বলেন ছায়া কেন করো এতো হেলা
সাথে যাবে চল এবার,
ভবের মেলায় ক্ষান্ত খেলা হাতে আর যে নাইরে বেলা
যেতেই হবে ডাকে ওপার।
স্ত্রী ছেলে কন্যা ওদের ছেড়ে কেমনে ধরি হিয়া
কেমনে রবো ওপারে গিয়া,
পাহাড় সম ধন দৌলত খ্যাতি সবই রবে পড়ে
সময় দাও কিছু যাই নিয়া।
কষ্টে ছায়া বলেন খালি গায়ে শূন্য হাতে এলে
যেতে হবে খালি হাতে,
মিছে মায়া ভবের ছায়া সাঙ্গ করো সকল বাধা
আঁখি মুদো নিচ্ছি সাথে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি :
রবি বাঙালি। প্রকৃত নাম মো. রবিউল আউয়াল। মোছা. হাজেরা খাতুন ও মো. তছলিম উদ্দিন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৭৫ সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্তর্গত নিতাইনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।বগুড়ার সান্তাহার এস এম আই একাডেমি হতে ১৯৯২ সালে এস এস সি, চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজ হতে ১৯৯৪ সালে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও এমএ( দর্শন) ডিগ্রি ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর ২৪ ব্যাচের একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি কলেজে যোগদানের মাধ্যমে অধ্যাপনা শুরু হয়।তিনি নিতাইনগর হাজেরা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাডেমিক ও গবেষণামূলক বহু গ্রন্থ প্রণেতা।তিনি প্রবন্ধ, গল্প,কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাস লেখেন যা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি হাজেরা ফাউন্ডেশন এর মূখপত্র ‘ লিটারেচার রিভিউ ‘ শীর্ষক জার্নালের সম্পাদনা করেন।বর্তমানে তিনি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।