একুশ তুমি

-রবি বাঙালি

∞∞∞∞∞∞∞∞

একুশ তুমি মায়ের বুলি এক্কা দুক্কা খেলা,

ফাগুন ফোটা রক্ত পলাশ প্রজাপতির মেলা।

একুশ তুমি রাখাল ছেলের বাঁশের মোহন বাঁশি,

মনাবেশী সুরের মেলা নয়ন ভরা হাসি।

একুশ তুমি ভোর বিহানে অরুণ ছড়া আলো,

আঁধার মনে মশাল জ্বালা মুছে ফেলা কালো।

একুশ তুমি কোকিল ডাকা অলস দুপুর বেলা,

আম বাগানে চড়ুইভাতি পুতুল পুতুল খেলা।

একুশ তুমি সহপাঠীর খোঁপার ফুলে দোলা,

কাজল চোখের ইশারাতে মধুর কথা বলা।

একুশ তুমি কিশোর কালে প্রণয় কাব্য লেখা,

প্রিয়ার মনের একটু ছোঁয়া বর্ণমালায় দেখা।

একুশ তুমি নীল আকাশের পূর্ণ গোলক শশী,

চরকি কাটা চাঁদের বুড়ির গল্প বলা রাশি।

একুশ তুমি মায়ের মুখে ঘুম পাড়ানি গীতি,

দিবস খেলা সাঙ্গ করা সন্ধ্যা বেলার প্রীতি।

একুশ তুমি বোনের আদর পিতৃ স্নেহের মতো,

মায়ের মুখের মধুর হাসি ইচ্ছে খেলা যতো।

একুশ তুমি ভাটিয়ালি জারিসারি গানে,

ভাওইয়া বাউলের দেশে সুরে সুরে টানে।

একুশ তুমি চড়ক মেলা চৈত্রের বটের তলায়,

অবাধে কিশোর কিশোরীর অভয় পথ চলায়।

একুশ তুমি দীপ্ত শপথ স্বাধীনতার বুলি,

জীবন দিয়ে খুলেছি তাই পরাধীনতার ঢুলি।

∞∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি :

রবি বাঙালি। প্রকৃত নাম মো. রবিউল আউয়াল। মোছা. হাজেরা খাতুন ও মো. তছলিম উদ্দিন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৭৫ সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্তর্গত নিতাইনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।বগুড়ার সান্তাহার এস এম আই একাডেমি হতে ১৯৯২ সালে এস এস সি, চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজ হতে ১৯৯৪ সালে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও এমএ( দর্শন) ডিগ্রি ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর ২৪ ব্যাচের একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি কলেজে যোগদানের মাধ্যমে অধ্যাপনা শুরু হয়।তিনি নিতাইনগর হাজেরা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাডেমিক ও গবেষণামূলক বহু গ্রন্থ প্রণেতা।তিনি প্রবন্ধ, গল্প,কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাস লেখেন যা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি হাজেরা ফাউন্ডেশন এর মূখপত্র ‘ লিটারেচার রিভিউ ‘ শীর্ষক জার্নালের সম্পাদনা করেন।বর্তমানে তিনি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*