গরিবের শীত
-ইন্দিরা দত্ত
≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কুয়াশামাখা চাদর গায়ে এল গরিবের শীত,
আগুন জ্বেলে গরিবরা হায় গাইছে দুখের গীত।
ভীষণ শীতে রুক্ষ বেশে গরিব দেখি মরে,
লেপ অভাবে কাঁপছে তারা বাঁচবে কেমন করে?
হাড়কাঁপানি হিম বাতাসে ঠকঠকিয়ে কাঁপে,
রাতের বেলা শীতের প্রকোপ বাড়ছে ধাপে ধাপে।
ভাঙা থালায় ঘুঁটে রেখে তাতে আগুন ধরায়,
তারই পাশে গরিব মানুষ শীত বুড়িকে সরায়।
ফুটপাতের ওই শিশুরা সব থাকে কুঁড়েঘরে,
কাঠ কুটো সব জ্বালায় তারা দেহ গরম করে।
জামা কাপড় পায় না তারা খালি গায়ে থাকে,
শীতের জ্বালায় কেঁপে মরে ভগবানকে ডাকে।।
শীত এসেছে বার্তা এলো কাঁপছে গরিব লোকে,
শীতের জ্বালায় মরছে তারা কাঁদছে দেখো শোকে।
উত্তরে বায় বইছে প্রবল পড়েছে শীত ভীষণ !
হাড় কাঁপানি শীত বুড়িটার ওটাই বুঝি মিশন।
গরিব মরে শীত প্রকোপে বেঁচে থাকা দায়,
ছেঁড়া কাঁথায় শীত কি মানে! কষ্টেতে দিন যায়।
লেপ কম্বল কোথায় পাবে খেতে পায় না ভাত,
টাকা কোথায় কিনবে জামা দাও বাড়িয়ে হাত।
≅≅≅≅≅≅≅≅≅
কবি পরিচিতি –
আমি ইন্দিরা দত্ত একজন গৃহবধূ ও গৃহশিক্ষিকা। এক সময় একাকীত্ব দূর করতে আমার কলম হাতে নেওয়া। গল্প কবিতার লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। এছাড়া বাগান করা, নাচ-গান আমার ভালো লাগে। পিতার নাম- ঈশ্বর শ্যামসুন্দর বিশ্বাস। মাতার নাম – শ্রীমতি বীণাপাণি বিশ্বাস। স্বামীর নাম- উৎপল দত্ত