চোখ নেই কারো

-আবুল হাসমত আলী

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

বছর আসে আর বছর যায়

এ নিয়মের ব্যতিক্রম নাই

সেই আদিকাল থেকে,

আজকের শিশু শিশুর পিতা

কিংবা হয় সে শিশুর মাতা

জীবন যুদ্ধের ফাঁকে।

আজকের যারা বছর শেষে

নতুন নতুন গাছের বেশে

দাঁড়ায় সারে সারে,

ফুলে ফলে ভরে ওঠে

নতুন কুঁড়ির গন্ধ ছোটে

সব নাসিকার তরে।

মৌমাছিরা একে একে

মধু নিয়ে যায় মৌচাকে

মধুভাণ্ড গড়তে,

সেখান থেকে মধুচুরি

করতে করে মারামারি

অনেকে আয় করতে।

রাজনীতিতে ভোটের লড়াই

সবার সাথে বিরোধ বাড়ায়

মোদের সমাজে,

বছর শেষে তারাই আবার

ভোটের লাগি আসে বার বার

এটাই কানে বাজে।

বছর শেষে খুন ও যখন

অত্যাচার তো কত রকম

ঘটছে দিবা রাত্রি,

বছর শেষে বিচারের ফল

আনছে না যে কোন সুফল

শুধুই মাতামাতি।

পরিষেবা দিতে ব্যর্থ

কারণ তাতে লাগে অর্থ

তাই বিক্রিতে বাধ্য,

মালিকের না থাকলে পরে

কেয়ার দাবি করতে পারে

এটাই ভীষণ সত্য।

পারিবারিক ঝুর ঝামেলা

কিংবা কটু কথা বলা

সব যায় স্তব্ধ হয়ে,

বছর শেষে যৌথ কারবার

ভেঙে যায় টিকে না আর

এটাই তো তার মানে।

তবে এসব নতুন নয়কো

ছিদ্র কেবল হচ্ছে বড়

তাতে চোখ নেই কারো,

বাক বিতণ্ডায় সময় কাটায়

মুখে কোন প্রতিবাদ নাই

তাই সকলে মরো।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*