একটি কবিতার জন্য

-অভিজিৎ হালদার

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

একটি কবিতার জন্য এই জীবন

একটি কবিতার জন্য এই বেঁচে থাকা

তবুও কি আজীবন বেঁচে থাকা যায় !

না যায় না — চলার নিয়মে চলতে হয়

হারানোর নিয়মে হারতে হয়

মানুষ তো ভুক্তভোগী প্রাণী

কখনও মৃতজীবী আবার কখনও মেরুদন্ডী।

সত্য দুরন্ত গতিতে চলে মিথ্যা সেখানে স্থির

হাত বাড়ালেই যেটা পাওয়া যায় সেটা মিথ্যা

সত্য তো দুরন্ত হাত বাড়ালে ফিরতে হয় শূন্য।

একটি কবিতার জন্য সমস্ত ত্যাগ মাথা পেতে নেওয়া

একটি কবিতার জন্য দীর্ঘ পথ একাকী হেঁটে চলা

তবুও কি পথের শেষ আছে !

না কখনোই না – পৃথিবীর নিয়মে সময় বহমান

চলে যায় অতীত থাকে শুধু বর্তমান

আগামী আসতে আসতে কি আঁকছি হৃদয়ের জনপটে !

একটি কবিতার জন্য চোখে জন্ম নেয় নীল সমুদ্র

মরুভূমি হাতে —- নগরী ব্যস্ততম

দুরন্ত গতিতে যে ট্রেনগুলো ছেড়ে চলে যায় এই শহর

সেই ট্রেনের যাত্রী আর ফেরে না !

তারা নতুন গন্তব্যের খোঁজে উধাও হয়

রাখতে পারে না কোনো স্থায়ী ঠিকানা

কেননা তাঁদের গন্তব্য স্থির নয় – জানা থাকে না গন্তব্য

মানুষ আসে মানুষ যায়

আকাশের তারা খসে নক্ষত্র ক্ষয়ে যায় রজনীতে

চলার পথ ঝাপসা হয় আর মলিন হয় স্মৃতির পাহাড়।

একটি কবিতার জন্য সমস্ত অপমান হৃদয়ে ধারণ করা

একটি কবিতার জন্য আমি আমৃত্যু তপস্যা করেছি

বেঁচে থাকার জন্য ——–

কখনও মৃতজীবী হয়ে কখনো মেরুদন্ডী হয়ে।

মানুষের জীবনে চলার গন্তব্য ভিন্নভিন্ন

হতাশা আঘাত সুখ দুঃখ হাহাকারে রাঙ্গানো

সেসব অচেনা অজানা চলার পথ

তবুও এগিয়ে যেতে হয় বাঁচার তাগিদে।

একটি কবিতার জন্য এইসব কবিতা লেখা

একটি কবিতার জন্য পৃথিবীর সমস্ত বিপ্লব জাগে

তবুও আন্দোলন ভাঙা গড়ার যুদ্ধ অবিচল।

চোখে চোখে আমৃত্যুর স্বপ্ন এই কবিতার জন্য

আমি হেরেছি জিতেছি কবিতার জন্য মানুষের জন্য

আর এই কবিতার জন্য সমস্ত নিবেদন।।

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

লেখক পরিচিতি:-

জন্ম:- লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত হাঁসখালী ব্লকের মোবারকপুর গ্রামে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে। পিতা:- কার্ত্তিক হালদার, মাতা:- আরতি হালদার, শিক্ষা:- মোবারকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাজনঘাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিভাগের অনার্স স্নাতক। লেখালেখির সূএপাত: স্কুল জীবন থেকে।

লেখালেখি:- বিভিন্ন – পএ পত্রিকা, ম্যাগাজিন , ওয়েবজিন, ফেসবুক পেজ/ ফেসবুক গ্রুপ , ব্লগসাইট , ওয়েবসাইট , অনলাইন প্লাটফর্ম , এছাড়া বিভিন্ন ফোরামে। বই:- “প্রথম আলো”(২০২১)

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*