শিশির মাখা ভোরের আলো
-শান্তি দাস
∞∞∞∞∞∞∞∞
হেমন্তের সকালে মৃদু মৃদু হালকা বাতাস,
ভোরের বেলা ঘাসের উপর শিশির কণা গুলো ভাসে।
স্নিগ্ধতা ভরা সকালে বিন্দু বিন্দু শিশির ঝরে।
শিশির মাখা ভোরের আলো নক্সীকাঁথার মাঠের ঘাসে,
এমন করে যখন রোদ্দুর নামে মন খারাপের গায়ে,
শিশির কণা নূপুর জড়িয়ে ধরুক সবুজ পাতার উপর।
মাঠের ভিতর হাজার শিশিরের ভীড়ে বইছে হিমেল হাওয়া,
ঘাসগুলো সব চুপসে শিশিরে শিশিরে নয়ন ধরে ।
হেমন্তের এই মশরুমে শিশির কণা ঘাসের গাঁয়ে পরে,
সুর্য যখন উঠবে শিশির গুলো শুকিয়ে যাবে পায়ে পায়ে।
সূর্যের তাপে ছড়িয়ে যখন পড়েছে সারা মাঠে,
শিশির গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা নামছে ক্ষেতে।
হিমেল হাওয়া শিশির মেখেে পাপড়ি মেলে রঙিন গোলাপে,
শীতের পরশ সদাই ঘাসের ডগায় রোদে ঝলমল করে।
রবির আলোয় শিশির কণা ঝরে বিন্দু বিন্দু মুক্তো দানার মতো,
শীতের পরশ লাগে গায়ে হিমেল হাওয়া মিষ্টি রোদে
বেশ লাগে।
∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।বিভিন্ন রাজ্য খেলাতে ও যোগদান করেছি।পি.আই চাকরীতে সুযোগ পেয়ে ও সুযোগ হারিয়েছি।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে মহিলা মহাবিদ্যালয়ে পার্টটাইম লেকচারার হিসেবে যোগদান করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হই।