কুয়াশার জঠর

-আশীষ খীসা

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কুয়াশার জঠর ছিঁড়ে যখন সোনালি

সূর্য পূর্ব দিকে উঠে তখন গায়ের উষ্ণতার

সাথে সাথে হিমেল রক্ত কণিকাগুলো

গরম হয়ে শিরায় শিরায় প্রসারিত হয়।

তখন মনে ও দেহে খুব স্বস্তি অনুভূত হয়,

মনে খুব প্রশান্তি ও আরাম লাগে।

যখন শীতের কাঁপুনি শরীর থেকে চলে যায়

সকালের হালকা মিষ্টি রোদের ঝলকানিতে।

সূর্যের কিরণ ও রৌদ্রের তাপে আস্তে আস্তে

অদৃশ্য হয়ে যায় আশপাশ জমে থাকা কুয়াশা,

মানুষ যার যার দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,

পশুপাখিরাও উষ্ণতার পরশে আনন্দে মেতে উঠে।

গাছের পাতা থেকে ঝরতে থাকে শিশির ফোঁটা

দুর্বাঘাসের ডগা থেকে বাষ্পায়িত হয় শিশিরকণা,

অতিথি পাখিরা উড়ে বেড়ায় বিল,দীঘি ও হাওরে

প্রকৃতি ও পরিবেশ হয়ে উঠে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক।

ছোট শিশু ও বুড়োবুড়িরা ল্যাপের ভিতর থেকে

বিছানা ছেড়ে বের হয় বাড়ির উঠানে রৌদ্রের জন্য,

গ্রামে অনেকেই গোল করে আগুন পোহাতে থাকে

শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় মানুষের।

সকালের নাস্তা খেয়ে একটু চুমুক মুখে গরম গরম চা

কর্মজীবী মানুষ চলে যায় যার যার পেশায়,

ছাত্র-ছাত্রীরা যায় স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে

গৃহিনী গৃহস্থালি কাজ করে,বৃদ্ধ লোকরা বসে থাকে।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিতি :

কবি আশীষ খীসা,পিতা – বিনয় কান্তি খীসা, মাতা – গোপা দেবী খীসা,জন্ম- রাঙ্গামাটি সদর। স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম-তুলাবান,ডাকঘর-মারিশ্যা, উপজেলা-বাঘাইছড়ি,জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।তিনি ১৯৭০ সালে ৩১শে আগষ্ট এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এড.ও এম.এড. (১ম শ্রেণি)ডিগ্রী অর্জন করেন। তাঁর একক কাব্যগ্রন্থ ২টি এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থ ১৯টি। তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য এ যাবত অসংখ্য সম্মাননা পান।উল্লেখ্য যে,সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ভারতের কলকাতা থেকে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য নেতাজী সুবাষ চন্দ্র বসু পিচ এ্যাওয়ার্ড-২০২৩ সম্মাননা পদক পান।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*