প্রশ্ন করতে ভুলেছি
-আবুল হাসমত আলী
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এসেছে সভ্যতা,
বনে আগুন জ্বলছে কেন? জানতে হবে সেটা।
পশুর সাথে লড়াই করতে কোথা পাব অস্ত্র,
গাছের শাখা নুড়ি পাথর লাগবে এসব কত।
এমনি করে পায়ে পায়ে এই সভ্যতা এলো,
এমনি করে মানুষ কবে ভাষা খুঁজে পেল।
পড়ে অনেক ন্যায়-অন্যায়ের পালা হলো শুরু,
গ্যালিলিও কোপার্নিকাস এল শিক্ষাগুরু।
তাদের উপর কত অন্যায় হল বারে বারে,
মানুষ এখন সেসব নিয়ে অনেক বুলি ছাড়ে।
কিন্তু এখন বিগড়ে গেছে তো নিজেদের মাথা,
অন্যায় হলে কে আর করে মোক্ষম প্রতিবাদটা?
জঠরে টান, লক্ষ্মীর হাতে দেখি ভিক্ষের ঝুলি,
ভিক্ষে দিচ্ছে স্বয়ং সরকার, তাই শির নামিয়ে চলি।
শিক্ষালয়ে এ কী? ভাত ডিম? আসলে ঘোড়ার ডিম,
মাথা গেল বিগরিয়ে ভাই, মস্তিষ্ক হল হিম।
ধর্মীয় স্থান সাজানো হয় সরকারকে বাঁচাতে,
ধর্মগুলি এখন থাকে দাদা দিদির সাথে।
শিক্ষিতরা ডিগ্রি নিয়ে করে ঘোরাঘুরি,
কাজ না পেয়ে অনেকে ভাই বিদেশে দেয় পাড়ি।
মোদের দেশের কি অবস্থা? প্রশ্ন করবে কারা?
ধর্মের আফিং এই সমাজে ছড়াচ্ছে যে ওরা।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।