মুক্তির আলো
-শান্তি দাস
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
এসো এসো সামিল হও এই মুক্তির মিছিলে,
এগিয়ে চলার মন্ত্র নাও জগতের সবার মাঝে ।
চলো সবে একত্রে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে,
ভাইয়ে ভাইয়ে কেন আজ এত বিভেদ।
মৃত্যুর মেলায় কেন দেয় মাথাচাড়া,
এঈ মৃত্যু মৃত্যু খেলা ক্ষমতার বন্ধন আলগা।
ওরা কেন এগিয়ে চলার মধ্যে ও পিছিয়ে পড়া,
ভালোবাসার সঙ্গে আলোর পথে যাই চলো একসঙ্গে।
এই স্বদেশ মোদের ভালো লাগা মুক্তির আলোয় আলোকিত করো,
চলো একসঙ্গে বাঁচি সবাই হিংসা বিদ্বেষ ভুলে ।
কেন আমরা সকলে আলোর সামনে দাঁড়িয়ে অন্ধকারের খোঁজে,
জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে কেন সংকীর্নতার পিছু,
নিজের স্বার্থ নিয়ে অন্যকে দেয় পিছন ঠেলে।
স্বজন প্রিয়জন প্রতিবেশী স্বার্থের কাছে দেশপ্রেম বন্দী,
এই প্রিয় আলো যদি পাই ফিরে
সেই আলোর দর্শনে সমস্ত আঁধার যাবে চলে।
মুক্তির কথা যদি তুমি আলোর পথে নিয়ে যাবে,
মানুষের মন ভালো হবে জগৎ আলোয় আলোকিত হবে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।বিভিন্ন রাজ্য খেলাতে ও যোগদান করেছি।পি.আই চাকরীতে সুযোগ পেয়ে ও সুযোগ হারিয়েছি।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে মহিলা মহাবিদ্যালয়ে পার্টটাইম লেকচারার হিসেবে যোগদান করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু করি।