সাধারণের মান্যতা
-বিজয়া মিশ্র
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
জনগনের জন্য সৃষ্ট শাসনতন্ত্র
এই নীতিতেই গণতন্ত্র উদযাপন।
আবেগে আপ্লুত ভারতবাসীরা
শ্রদ্ধাবনত হয়ে করি শহীদ স্মরণ।
মান্যতা পাওয়া গণতন্ত্র দিবসে
প্রতি বছর ছাব্বিশে জানুয়ারীতে
কুচকাওয়াজ আর শপথ বাক্যে
আপামর মানুষ মিলে একসাথে।
ষড়যন্ত্র হত্যা ক্ষয় জাত পাত দ্বন্দ্ব রোখার
প্রতিশ্রুতি চলে সবার ভাষণে
তবুও অবক্ষয় প্রতিদিন প্রতিপলে
দিবস পেরোলে থাকেনা সে সব মনে।
আভিধানিক যে অর্থে লেখা সংবিধান
অলিখিত বা কেবলই কাগজে কলমে
জীবযাপনে সে সবই শোষণতন্ত্র
প্রজার মনে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ জমে।
এখন ন্যায্য যা কিছু অমিল সবই
শ্রমের মূল্য হারায় পথের বাঁকে
রাজতন্ত্রই শেষ পর্যন্ত থাকে সচল
যে কোন উপায়ে ক্ষমতা বজায় রাখে।
কবে যে প্রজার আবেগ মূল্য পাবে!
কবে যে একটু সবাই থাকবে ভালো
সেই প্রতীক্ষার শেষ নেই পঁচাত্তরেও
একতা গড়ে প্রজারা আওয়াজ তোলো।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ী র জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। নিত্য দারিদ্র, আশেপাশের কিছু মানুষের প্রাত্যহিক বিরূপ মনোভাব,কোনঠাসা করার প্রয়াস মিথ্যে করে বড় হয়ে ওঠা।একমুঠো ভাত জোগাড়ে আশৈশব লড়াই চিন্তা চেতনাকে পুষ্ট করেছে। বর্তমানে কলকাতাবাসী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই আমার কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।