তাদের কাছে আছে অনেক বাকি
-আবুল হাসমত আলী
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
ওই নেতাজি জয়ন্তীর সুর শোনা যাচ্ছে কানে,
প্রিয় নেতার জন্মদিনে আসি স্কুল প্রাঙ্গনে।
কচিকাঁচা আছে যারা দাঁড়ায় সারে সারে,
তাদের নিয়ে প্রিয়াঙ্কা ম্যাম কত কীই না করে।
শ্রেয়া ম্যামের দ্বারা তারা হলো ভীষণ সিদ্ধ,
গান কবিতা আলোচনায় তারা হলো মত্ত।
শাকিলা ম্যাম, শেফালী ম্যাম আর ছিল সাইফুদ্দিন,
সোলেমান আর গোমড়ামুখো হাসমত_ আরে বাদ দিন।
সবার কিছু ভূমিকা তো থাকতেই হবে কাজে,
না হলে কি অনুষ্ঠান হয় আমজনতার মাঝে?
মালা দিয়ে বরণ করে শুরু হয় অনুষ্ঠান,
মহান ব্যক্তির জন্মদিনে সবাই তো এটাই চান।
ছাত্র-ছাত্রী সবাই মিলে শ্রেয়া ম্যামের সাথে,
নৃত্য দিয়ে শুরু করে আমজনতার হাটে।
হাততালি দেয় প্রোগ্রাম দেখে উৎসাহ পায় তারা,
কোন কিছুর উন্নতি নাই ভাই উৎসাহ ছাড়া।
এদিকে তো বেলা বাড়ে একটু একটু করে,
দশের উপর বেজে গেল উঠলাম প্রোগ্রাম ছেড়ে।
চকোলেট কেক বিতরণে সবাই লাগালো হাত,
এমনিভাবে মোরা সবাই একত্রে দিলাম সাথ।
যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবে বীরদের বরণ করা,
ধরার বুকে এমনি করে আমরা ফেলবো সারা।
ভুললে হবে? তারা দিল স্বাধীনতা আনি,
তাইতো তারা স্বাধীনতার আকাশে খুব মানি।
তাদের নিয়ে গর্ব করি বুকে ধরে রাখি,
ভুললে হবে? তাদের কাছে আছে অনেক বাকি।
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।