তোমার মাঝে আমার বেঁচে থাকা
-শ্যামল কুমার মিশ্র
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
তোমার সাথে দেখা সে কোন সকালে
তোমার স্পর্শে আমার প্রথম ভালোলাগা
তোমার বুকে মুখ রেখে গন্ধে বিভোর হওয়া
ভালোলাগা ভালোবাসার হারানো সব দুপুর
বুকের মাঝে বাজতে থাকে সিম্ফোনির সেই সুর
প্রথম দিনের ভালোবাসা, ভুলবো কিরে হায়
হৃদয় মাঝে সমুদ্র জাগে, ডুবতে পরান চায়…
জীবনের অপরাহ্ণ বেলা আজ,
শুধু মনে হয় কত কিছু রয়ে গেল বাকি
তুমি এলে কত রূপে কত বিভঙ্গে
কখনো ঘনায়মান অতীত
কখনো ভবিষ্যতের চুপকথা।
তোমার কালো দেহের বক্ষাভরণে শব্দের দুন্দুভি
সব শব্দ এসে মেশে নিরন্তর অবকাশে
শব্দের নির্মোহ প্রকাশে…
ভূপতির পাঠশালায় তোমার সাথে
আমার প্রথম দেখা
তারপর কত পথ হেঁটেছি তোমার সাথে
কখনো তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি রাগে ক্ষোভে সরাও নিকো কভু তব অঙ্কদেশ…
রাত গভীর হলে ক্লান্ত চাঁদ চুমো এঁকে যায়
ঘুম ভেঙ্গে সরায়ে রাখি এক পাশে
শুধু মনে হয়—
কেন আরেকটু ভালোবাসিনি তোমায়!
রাতের পরে দিন, দিনের পরে রাত
ক্লান্ত অবসন্ন আমি তোমার মুখোমুখি
সময় ছুঁয়ে গেছে তোমায়
বিবর্ণ শরীর জুড়ে তোমার সেই স্পর্শ সুখ
বারে বারে মনে হয়—
ছুঁয়ে থাকো তুমি মোরে
দিনের শেষ প্রহরেও…
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
সাহিত্যকে ভালোবেসে কিছু লেখার চেষ্টা। কখনো তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত প্রান্তে আমার জন্ম। গ্রামবাংলার মেঠোপথে কেটেছে শৈশব। তারপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। রামকৃষ্ণ মিশনে তা এক ভিন্ন মাত্রা পায়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। বিদ্যাসাগর রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত বিদ্যাসাগর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দুবার বিদ্যাসাগরের দৌহিত্র শ্রদ্ধেয় সন্তোষ কুমার অধিকারীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষকতাকে ভালোবেসে প্রায় ৩৪ টা বছর কেটে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অন্যতম প্রাপ্তি “দ্রোণাচার্য্য” পুরস্কার। ভালো লাগে পড়তে, লিখতে আর মানুষের মাঝে সময় কাটাতে। আর তাই সৃষ্টি “মনীষী চর্চা কেন্দ্রের” যা মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক মনন গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট। সাহিত্যের মাঝে বুক ভরে শ্বাস নেওয়াতেই আমার আনন্দ …