ভালোবাসার দিনে

-শ্যামল কুমার মিশ্র

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

রাত পোহালেই প্রেম

নিরাভরণ তোমার দুখানি হাত

তোমার গায়ে আজ বাসন্তী রঙের শাড়ি

স্পর্শাভিলাষী মন ছুঁতে চায় তোমায়…

পলাশের ডালে তখন রঙের খেলা

রক্তিম পলাশতলে

তোমার সাথে প্রথম দেখা

তুমি ছুঁয়ে দিলে আমায়

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো আমি যেন হারিয়ে গেলাম

শ্রাবস্তীর প্রাচীর গাত্রে তুমি ফুটে উঠলে

নতুন করে আমি পেলাম তোমায়

তুমি যেন আমার সেই হারানো অতীত…

ধীরে ধীরে সূর্য অস্ত যায়

রাত্রির আঁধার নামে

পলাশের লাল ঢাকা পড়ে ঘন অন্ধকারে

সারাদিন কুহু ডাকে

ক্লান্ত কোকিল ফিরে গেছে ঘরে

অপেক্ষায় রয়েছে হয়তো কোনএক রাত জাগা প্রেম

যদি দেখা হয় শিপ্রা নদী পারে রাত্রি অবসানে…

প্রভাতের বাসন্তী রঙ হয়তো বা খানিক ফিকে

রাত জাগা পাখিটা গান ভুলে চোখ মেলে

কোন এক বাসন্তী অনুরাগে

প্রেম খুঁজে ফেরে বসন্তরে

যুগ থেকে যুগান্তে

ভালোবাসার দিনে, ভালোবাসার পরতে পরতে…

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি:

সাহিত্যকে ভালোবেসে কিছু লেখার চেষ্টা। কখনো তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত প্রান্তে আমার জন্ম। গ্রামবাংলার মেঠোপথে কেটেছে শৈশব। তারপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। রামকৃষ্ণ মিশনে তা এক ভিন্ন মাত্রা পায়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। বিদ্যাসাগর রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত বিদ্যাসাগর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দুবার বিদ্যাসাগরের দৌহিত্র শ্রদ্ধেয় সন্তোষ কুমার অধিকারীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষকতাকে ভালোবেসে প্রায় ৩৪ টা বছর কেটে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অন্যতম প্রাপ্তি “দ্রোণাচার্য্য” পুরস্কার। ভালো লাগে পড়তে, লিখতে আর মানুষের মাঝে সময় কাটাতে। আর তাই সৃষ্টি “মনীষী চর্চা কেন্দ্রের” যা মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক মনন গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট। সাহিত্যের মাঝে বুক ভরে শ্বাস নেওয়াতেই আমার আনন্দ …

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*