রক্তাক্ত বর্ণমালার ইতিকথা
-মোহাম্মদ হোসেন
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে
অনেক বর্ণ মালার বিন্যাসে গাঁথা মালা
একদিন হয়েছিল দুঃ খিনী এসব বর্ণ মালা
যার নরম বুকে জ্বলে উঠে অগ্নি তাপের জ্বালা।
বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে হয়েছিল ষড়যন্ত্র
উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে
বাংলার দামাল ছেলেরা উঠেছিল গর্জে
বুকে রক্ত থাকতে এ অপকর্ম মেনে নেবে না।
বাংলা ভাষা আমাদের বুকের স্পন্দন
মায়ের মুখের মধুর অমূল্য ধ্বণি
প্রাণটা ভরে উঠে যে মধুর শব্দ শুনি
মনে পেখম মেলে যে বর্ণ মালার অনুরণী।
বাংলা বর্ণ মালারকে উর্দুর মোড়কে ভরে
দিতে চেয়েছিল এ বর্ণ মালাকে তাড়িয়ে
এ অপকর্মের বিরুদ্ধে দামাল ছেলেরা
গেল দাঁড়িয়ে।
১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির ভোরে
১৪৪ ধারা জারী করে গায়ের জোরে
বাংলা ভাষাকে করবে নিদারুণ হেনস্থা
পশ্চিমারা নিজেরাই দেখলো পরাজয়ের রাস্তা।
রক্তের কাছে হার মানে বুলেট বন্দুক
প্রতিরোধের জন্য পেতে দেয় দীপ্ত বুক।
সেদিন তেতেছিল বাংলার রাজপথ
আমার ভাইয়ের রক্তে লাল হলো বর্ধমান চত্বর।
বাংলা বর্ণ মালা অ, উ ক, ম,র ঙ এর জন্য
ঢেলে দিল বুকের তাজা রক্ত।
প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাত ফেরী শেষে
পুষ্পাঞ্জলি দেয় বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ মিনারে।
যে সকল শহীদের রক্তে এলো বর্ণ মালার মুক্তি
আমরা কোন দিন ভুলবোনা তোমাদের
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তোমারা চির স্মরণীয়।
দিতে পারবোনা একটি তাজা প্রাণের দাম
ও গো ভাষা শহীদরা তোমার চির অম্লান মহান।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
মোহাম্মদ হোসেন, কবি ঔপন্যাসিক ছড়াকার ও কথাশিল্পী
জন্ম ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার তিতাস বুড়ি নদী সঙ্গম স্থল কনিকাড়া গ্রামে। বর্তমান স্হায়ী ঠিকানা নিকেতন৷, গুলশান – ১।
সভাপতি ঃ উন্মুক্ত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ
উপদেষ্টা ঃ ঢাকা সাহিত্য পরিষদ
প্রধান উপদেষ্টা ঃ মৃত্তিকা বাংলাদেশ
প্রধান উপদেষ্টা ঃ শাহবাগের আড্ডা
আজীবন সদস্য ঃ নিকেতন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সদস্য ঃ নবীনগর থানা কল্যাণ সমিতি, ঢাকা।