পরিচয়টা হোক বাঙালি

-মীর সেকান্দার আলী খোকা

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

পরিচয়’টা হোক বাঙালি-বাংলাদেশী,

ভেসে আসুক কণ্ঠ হতে কর্ণে, মুজিবের কণ্ঠস্বর।

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম-জয় বাংলা।

কালো কোট,

কালো কোটে সহস্র বছরের বর্ষীয়ান নেতা মুজিব।

প্রসার বক্ষের উদারমনা, যেন ধরার বুকে উদার হীরা,

পরশ পাথরের স্পর্শে ছুঁয়ে গেল বাঙালি হৃদয়,

বাঙালি পরিচয় পেল মানুষ হিসাবে নিজের।

অধিকার বুঝে নিতে শির উঁচিয়ে দাঁড়াতে শিখেছি

এই প্রথম,

ঝলসানো চোখে,চোখে রেখে কথা বলতে শিখেছি।

তুলনার সংজ্ঞা নেই জানা আমার

কোন তুলিতে আঁকা ছবি তুমি ?

কোন তুলিতে আঁকবো তোমায় আমি, হে’পিতা!

কাঁপে হাত, কাঁপে আমার কলম,

কাপে মস্তিষ্কের উদার ভাবনাগুলি।

আজ ৭ই মার্চে অকল্যাণে কোন’টা বলেছ তুমি,

আমি একটি অক্ষর খুঁজে পাইনি তাতে।

কেবলি তোমার উদার আহবানে ছিল বাঙালির কল্যাণ,

আজ আমি বাংলাদেশী, বাঙালি, বাংলাদেশ আমার।

তোমার মত রত্নকে পেয়েই বাংলাকে পেয়েছি,

পেয়েছি আপন করে এক টুকরো ছায়া।

ঝর্ণাতে যত গান ছিল সে’দিন,

বহমান নদীর স্রোতে ছিল যত কলতান,

সাগরের ঢেউ সহ উঠেছিল দুলি সে’সুরে তোমার।

মাঝি ছেড়েছিল হাতের বৈঠা,কৃষক ছেড়েছিল লাঙ্গল,

কৃষাণী ছেড়েছিল কুলাতে হাওয়ায় দোলানো

চৈতালি ঘোমটা।

কৃষাণী ঘোমটা খুলে খেমটা নেচে বলেছিল সন্তানেরে,

বাঘিনী চোখে যা বাবা যুদ্ধে যা।

এক তর্জনী হেলনে এই বাঙালি জাতিকে দমাতে পারেনি পরাশক্তি কেহ।

কত তাপ সয়েছো পিতা! নিয়েছে তোমায় ফাঁসির মঞ্চে,

কেঁপেছে ফাঁসির দড়ি,তুমি ছিলে শির উঁচিয়ে।

তুমি নেই, এ’কথা বলি না আমি, তুমি আছো,

তুমি থাকবে শত সহস্র বছর পরেও।

পিতার মতোই পিতা ছিলে তুমি, যাকে বলে পিতা,

তোমার দ্বিতীয় নেই কেহ এই বাংলায়,

শিষ্যের সেরা তুমি নিপীড়িত নির্যাতিতদের

বিশ্বের পিতা।

হে পিতা, আরবদের তুমি বলেছিলে ভাই,

ইসরাইলকে করেছিলে প্রত্যাখ্যান,

আজও সে নীতি চলে এই বাংলায়।

এমনি হাজারো নীতি আছে জানেনা নতুন প্রজন্ম কেহ,

বোধ জাগাতে খুজিনি কখনো তোমার পথচলা।

হে পিতা আজ ৭ই মার্চে তোমাকে ভাবছি,

আমি এক ক্ষুদ্র সন্তান তোমার,

আমাকে ক্ষমা করে দিও, ক্ষমা করে দিও তোমার

কুলাঙ্গার সন্তানদের।

পরিশেষে বলি আমি বাংলাদেশী,

পরিচয়টা হোক বাঙালি আমার।

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি:

জন্ম, ১৫-৬-১৯৬৬ ইং, রাজশাহী সদরে। পিতৃকুল, বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। মাতৃকুল: ঢাকিজোড়া গ্রাম, শিবালয়, মানিকগঞ্জ। (ঢাকা) বাংলাদেশ। উভয়েই অবিভক্ত বাংলার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাসিন্দা। আমার বর্তমান স্থায়ী নিবাস: পেশা চাকুরী, ১ নং ওয়ার্ড, মাদ্রাসা পাড়া,পৌরসভা, ঠাকুরগাঁও সদর।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*