জ্বালাতন

-আবুল হাসমত আলী

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

২৫০০ বছর ধরে রাজত্ব করছে

৩৬০০ প্রজাতি তার দলবল নিয়ে।

ঘরের কোনে, মাঠে-ঘাটে, ফুটপাতে,

হাসপাতলে, নর্দমায়, গুদাম ঘরে।

ঝোপে ঝাড়ে, গোয়াল ঘরে,

সর্বত্র তার উপস্থিতি নজরে পড়ে।

নাকি সুরে গুনগুনিয়ে গান ধরে,

কামড় দিয়ে সবাইকে জ্বালাতন করে।

জালায় অতিষ্ঠ হয়ে জনগণের ঘুম ছোটে,

বাঁচতে যে যার পোশাক পড়ে সূর্য যায় যেই পটে।

সরকার বাহাদুর বাজেট কষে তাদের মারতে,

কাঁরি কাঁরি টাকা যায়, ফল ফলে না তাতে।

একি ভীষণ জ্বালা রে ভাই, মরি এদের তাণ্ডবে,

অনেক মানুষ এদের দ্বারা পটল তুলে এই ভবে।

এইরকম দাপট মশার মোরা সহ্য করে চলি,

এদের কথা নতুন করে আর কিই বা বলি।

সমাজে তো ঢের বেশি জ্বালাতনকারী আছে,

তাদেরকে এখন ভীষণ দরকার সব দলের কাছে।

তাদের ছাড়া ক্ষমতা টেকানো বড় দুষ্কর,

সবাই জানে, সমাজের তারা বড় ঘুষখোর।

তাদের ধরে উচ্ছেদ করে সমাজকে বাঁচাও

সবাই মিলে সমাজে আবার মানবিকতা ফেরাও।

মায়ের ভাইয়ের বোনের স্নেহ যেথায় আছে,

মোদের সমাজ যেন গঠিত হয় সেই ছাঁচে।

বটের ছায়ায়, তেঁতুল তলায় সবাই এসো ভাইরে,

ফেরার আগে দু’দণ্ড মনের কথা কই রে।

দীক্ষা দেবে ভন্ডের দল ছাগল ভেড়া ভেবে,

সাবধান এভাবে তোমার ক্ষমতা তাদের হাতে যাবে।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*