হঠাৎ যদি
-খন্দকার আরশাদুল বারী
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
হঠাৎ যদি নিঃসঙ্গতা ছেয়ে যায়
মনে পড়ে আমায়
আকাশের অসীমতায় তাকিয়ে থেকো
খুঁজে পাবে কালো মেঘ
আমি মেঘ হয়ে তোমার নিঃসঙ্গতাকে ঢেকে দেবো।
যদি হঠাৎ দুচোখ বেয়ে অশ্রুর বান নেমে আসে
সমুদ্র কিনারে দাঁড়িয়ে আছো ভেবো ,
আমি সমুদ্রের বিশালতা হয়ে তোমার
অশ্রুকে আমার হৃদয়ে নেবো শুষে।
নিশীথের অন্ধকারে হঠাৎ যদি
দুরু দুরু বুক কেঁপে ওঠে,
মনে কোরো আমায়
আমি আকাশ থেকে বিজলী এনে দেবো।
দুপুরের খর তাপে হঠাৎ যদি
অসহ্য যন্ত্রণা লাগে ,
মনে কোরো আমায়
আমি স্বর্গের শীতলতা হয়ে তোমায় মুড়ে দেবো।
মৃদু সমীরনে যদি হঠাৎ দুলতে মন চায় ,
মনে কোরো আমায়
আমি বসন্ত এনে দেবো।
আমি ঘাসের ডগার শিশির বিন্দু হবো
হঠাৎ যদি তোমার ছুঁতে ইচ্ছে হয় !
হঠাৎ যদি শ্রাবণের বারিধারায় ভিজতে মন চায়,
মনে কোরো আমায়
আমি খেয়ালি বরষা হবো !
হঠাৎ যদি সমস্ত যন্ত্রণা তোমায় পেয়ে বসে,
মনে কোরো আমায়
আমি নিংড়ে নেবো তোমার সমস্ত যন্ত্রণা !
আমার সমস্ত সত্তা দিয়ে আমি
আগলে রাখব তোমায় !
মুক্তি দেবো তোমায়
তোমার নিঃসঙ্গতা হতে !
পুরা মহাবিশ্বের সাথে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করবো
তবুও একটুও কষ্টও তোমাকে ছুঁতে দেবো না।
হঠাৎ যদি তোমার খুব
ভালোবাসা পেতে মন চায় ,
মনে কোরো আমায়
সমস্ত পৃথিবীর ভালোবাসা নিয়ে
আমি দাঁড়াবো তোমার সামনে ।
ভালোবাসবো তোমায় আমার সমস্ত টুকু দিয়ে!
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি:
জন্ম ও বেড়ে ওঠা রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বউলবাড়ি গ্রামে। ৫ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ৫ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতোকোত্তর শেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে একজন প্রভাষক, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার হিসেবে কর্মরত আছেন। ভালবেসে কবিতারা যখন উকি দেয় তখন সেগুলোকে দিয়ে শব্দ খেলায় মজার ঝোঁক আছে।