আল্লাহ বা স্রষ্টার প্রতি অনুযোগ
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কাশিপুর হিন্দুর গাঁ, দাপটে জমিদার
তর্ক রত্নের মতো নিষ্ঠাবান পুরোহিত যাঁর।
গোফুরকে রাম রাজত্বে থাকার কথা বলে
ষাঁড় মহেষকে খড় খেতে না দেওয়ার জন্য
গোফুরকে মানষিক আঘাত করতেও পারে।
নিজের খামারে চার গাদা খড় থাকা সত্ত্বেও
মাত্র দু আটি খড় গোফুরকে ধার দেবে না
অযুহাত দেখায়, বলে শোধ দিতে যে পারবে না।
গোফুর শেষ অবধি ফুলবেড়ের চটকলেই
একদা কাজে যেতে যে বাধ্য হয়ে ছিলে।
গফুরের স্রষ্টার প্রতি কাতর অনুযোগ
” যে তোমার দেওয়া মাঠের ঘাস
তোমার দেওয়া তেষ্টার জল
তাকে খেতে দেয়নি
তার কসুর যেন কখনো মাপ কোর না।”
শরৎ বাবু তোমার কলমে কি অনুযোগ
সাহিত্য সৃষ্টির অন্তরালে সেদিন রেখে ছিলে ?
সমাজে অন্যায় অত্যাচার চলছে কালে কালে।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । ছদ্ম নাম ” সরাক কবি ” । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
একক কাব্য গ্রন্থ ‘ অনুভব ‘ ‘ অনুরণন ’ ও ‘অপরাহ্নের প্রেয়সী ‘ ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , ‘ অনুরাগ ‘ ( হাইকু শৈলীতে ) , ‘ অনুভূতি ‘ ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , ‘ অনুভা ‘ ( অনুভাষ শৈলীতে ) প্রকাশিত হয়েছে । শুভ নববর্ষে ১৪৩১ আত্মপ্রকাশে বিশেষ কবিতা সংকলন ‘ অনুভাবিত ‘। রাজ্য দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা সাহিত্য সাধনায় নিরন্তর ব্যপ্ত রয়েছেন।
রুক্ষ মাটির ঊষরতা কবিকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী, মধ্যবয়সে এসে জীবন বোধে স্থিতপ্রাজ্ঞ হয়ে জীবন সম্পর্কে কবির বহুবর্ণীল অনুভূতি মালা সদ্য প্রকাশিত ” অনুভাবিত ” বিশেষ কবিতা সংকলনে।
জন্মদিনে লহ প্রণাম ।