ঋতু বিদ্বেষী
-শ্রী স্বপন কুমার দাস
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
প্রকৃতি প্রেম সৃষ্টি সৃজনে
জীবন চক্র বিন্যাস দানে।
যুগের পর যুগের স্রোতে
ছয়টি ঋতু ধরায় মাতে।
বর্ষ শেষে নববর্ষ পাশে
গ্রীষ্মকালীন রৌদ্র বসে।
গ্রীষ্মকাল বড়ই বিচিত্র
রুদ্ররূপী লাবণ্য চরিত্র।
চড়া রোদ্দুর তপ্ত দুপুর
নদীনালা শুকনো পুকুর।
চাতক পাখি আকাশ পানে
ফটিক জল কন্ঠ রোদনে।
শীতল সবুজ লু- প্রবাহে
ধ্বংসের পথে দাবাদহে।
পশুপাখি জীবকুল যত
প্রচন্ড গরমে অর্ধমৃত।
ভ্যাপসা গরম ষোল আনা
ঘর্মাক্ত দেহে ভিজে বিছানা।
ঘরে বসে করে হায় হায়
ঘর বাহির হওয়া দায়।
তপ্ত তপন অনল বয়
জ্বলন পুড়ন বিষময়।
নতুন প্রভাত গ্রীষ্মকাল
এই রূপে আসে চিরকাল।
ধরণী তরে প্রীতি সৃজন
প্রকৃতির ঋতু আয়োজন।
ঋতুচক্র ধরে প্রয়োজন
মেনে নেয় সব ধরাজন।
মানুষ কেবল বেমানান
নির্লজ্জ সব বসন্ত চান।
সুবিধাবাদী সুখ প্রত্যাশী
ধরণী শ্রেষ্ঠ ঋতু বিদ্বেষী।।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি-
কবি- শ্রী স্বপন কুমার দাস
পিতামাতা- শ্রী সন্তোষ কুমার দাস/কল্ল্যাণী দেবী
জন্ম- ১৬/০৪/১৯৬৩
গ্রাম +জেলা +রাজ্য+দেশ- গোপীবল্লভপুর/ঝাড়গ্রাম/পশ্চিমবঙ্গ/ভারতবর্ষ।
১৯৭৮ সালে লিটল ম্যাগাজিন (সুবর্ণরৈখা পত্রিকা)-র হাত ধরে কবিতা লেখা শুরু মাঝখানে কিছুদিন সাংসারিক কারণে লেখা থেকে বিরত আবার ফেসবুক জগতের হাত ধরে লেখালেখি শুরু করেন ফেসবুক দুনিয়ার স্বনামধন্য কবি।