বৈশাখী ভাবনায়
-বিজয়া মিশ্র
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
নতুন বলে এত যে মূল্য দিলে
অতীত হলে রাখবে আমায় মনে
আজ যে সাজে করলে নবীন বরণ
ঋতুর এই প্রথম আবাহনে?
এখন যে সুগন্ধী নবসজ্জা
এনেছো মঞ্জরী কত পুষ্পদল
একটু পরেই জৌলুশ যাবে জেনো
হারিয়ে যাবে কাঙ্খিত পরিমল!
দীপ্ত আম্রশাখায় সিঁদুর ফোঁটা
স্বস্তিক চিহ্নিত অপরূপ সংস্কৃতি
এই যে মঙ্গলঘট সুসজ্জিত
বৈদিক উচ্চারণের ভাবমূর্তি।
দেখো যেতে যেতে অশ্রুবিগলিতা
চৈতি এখনও নীরবে ফিরে চায়
ভুলে তো গিয়েছ ফেলে আসা সেই প্রীতি
শুধু স্মরণ করলে বিদায়ী অভিধায়।
বৈশাখী বৈঠকে পরিচয় পর্বে
কেবল অভিপ্রেত সময়ের আহ্বান
না চাইতেও ঘটবে ঘটনাক্রম
আমার হাতে নাই কোনো প্রতিবিধান।
সব নতুন তো নাও হতে পারে ভালো
প্রস্তুতি নাও আমার সঙ্গে এগোবার
চেতনায় শান দিও বাপু প্রতিদিন
মনুষ্যত্ব প্রতিদিন থাক দুর্বার।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ী র জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই আমার কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।