পৃথিবীর কান্না

-তনুশ্রী বসু (পাত্র)

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

প্রকৃতিতিকে করলি তোরা

বিনা দ্বিধায় নিধন?

অবোধ মানুষ বুঝলিনা প্রকৃতই তোর

সবচেয়ে বড় আপনজন ।

এই যে গাছপালা, নদী, পাহাড়

এরাই তোর কাকা পিসি

দেবে তোকে ছায়ার আচ্ছাদন

প্রাণবায়ু বইবে দিবানিশি।

নদীর বুকে জোয়ার ভাটা

আকাশে ওই চাঁদ সুজ্জির খেলা দেখছিস চোখ মেলে উড়ন্ত মেঘ

ওদের মাঝেই তোর শিশুবেলা।

পূর্ণিমার চাঁদের হাসি, লক্ষ তারা

ওখানেতে ফুলেদের সমারোহ

প্রকৃতি মা আনন্দেতে খুশীতে

ছড়িয়ে দিয়েছে প্রাণের স্নেহ।

কি ভেবেছিস? তোদের অত্যাচারে

এরা থাকবে কি নির্বিকার?

একটা গাছ বাঁচায় হাজার প্রাণ

দেখ! বিনাগাছে পৃথিবীর হাহাকার।

জল, বায়ু, সূর্যের আলো রশ্মি

তিনিই একমাত্র ঈশ্বরের অবদান

সকলে সচেতন হও, গাছকে বাঁচাও

নিশ্বাসে প্রশ্বাসে গাছই সহায়

গাছেদের স্নেহের আলিঙ্গনে

সাদরে কাছে টেনে নাও।

আদিম পৃথিবীতে প্রাণী, মনুষ্যহীন

গাছের কাছে আজীবন ঋণ।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি:-

আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*