বেঁচে থাক ন্যায় মাঠে

-মীর সেকান্দার আলী খোকা

∞∞∞∞∞∞∞∞

একটি কালো অধ্যায় চলছে বিশ্বে-

তন্দ্রিত হচ্ছে মহাকাল নতজানুতে,

তন্দ্রিত হচ্ছে ন্যায়-মহাকাল ভূগর্ভের তলানিতে।

ন্যায়ের ধারক-বাহকের ধোয়া তুলে কাঁদাচ্ছে বিশ্বকে,

ন্যায় বলে কিছু নেই, মূলত লিপ্ত আছে তারা

অন্যায়-পাপাচারে, পেশি শক্তিই তাদের মূল শক্তি।

একটি অশুভ শক্তির বলই ঘিরে আছে-মিশে আছে

দুর্বলের তন্দ্রে তন্দ্রে।

দুর্বলের সংজ্ঞা জানা নেই,তবুও বলছি, ভিতুরাই দুর্বল।

অর্থ-বৃত্তে যারা দুর্বল তারা দুর্বল নয়,

এমন দুর্বলের সংখ্যা অনেক,

ইচ্ছাশক্তিতে ভাঙতে পারে তারা কাঁচের দেয়াল।

মূলত দুর্বল তারাই ভীতু যারা,

ভিতুরাই ভাঙতে পারে না কাঁচের দেয়াল।

নতুন নয়, অন্যায় মাথাচারা দেয় প্রতিকালেই,

ডুবে মরে লোহিত সাগরে-ইতিহাসে।

হাঁসি দেয় ইচ্ছাশক্তি ন্যায়ের ঝান্ডাতে,

ভেঙে পড়ে কাঁচের দেয়াল।

আসন্ন ইতিহাস ঘুরছে চক্রে বলছে এটাই,

কেহ ভাঙছে মসজিদ,কেহ ভাঙে মন্দির,কেহ গির্জা,

চাপিয়ে দেয়া অন্যায়ের বোঝাতে ঝরছে রক্ত ময়দানে।

একশ্রেণীর টোপলাবাহি আছে-

অন্যায়ের গীত গেয়ে বেড়ায় ন্যায়ের ভঙ্গিতে।

আসলে তারা আখের গোছায় নিজের,

উসকে দেয় অন্যায় পাপাচারকে

মনে করে না অন্যায়-পাপাচার বলে কিছু আছে।

এক শ্রেণীর ধর্মগুরু ন্যায়ের প্রতীকে বহন করে

পৈতা-টিকি, পরিধান করে গেরুয়া পোশাক,

মাথায় টুপি পড়ে সাজে ন্যায়ের প্রতীক,সাজে মুসলিম, বেশধরে সাধুর,

থলিতে থাকে বিষ বাষ্প নিভৃত্তে ছরিয়ে দেয় অন্যায়ের ধ্বনি।

লক্ষ কোটি হত্যার আসামি সেজেছে মুরুব্বী মহল্লার,

জানে-চিনে সবাই, পদচ্যুতির শঙ্কাতে ওষ্ঠ নিরব।

রক্তচোষা নেশাখোর, দূর থেকে রক্ত চোষে নিরবে,

গোপনে মুখ রাখে মদের পাত্রে,

নিকৃষ্ট মুনাফিক এরা, এরা ভয়ংকর ইবলিশের গুরু,

অতি ভয়ংকর, লক্ষ কোটি হত্যাকারীর চেয়েও খারাপ।

মাথায় পাগড়ি প’ড়ে ইসলামী লেভাজে ফিলিস্তিন রক্ত

পদদলিত করছে কিছু মুসলিম মোনাফিক,

দাবি করে উম্মাতে রাসুল, এরাই বর্বর, জাহিলিয়াত,

নিক্ষেপিত হোক লোহিত সাগরে,

ডুবে যাক ফেরাউনের অনুসারীতে-তলিয়ে যাক নিচে।

মানুষ,কাঁচের দেয়াল ভাঙো, ইনসাফ সাথে নেমে এসো মাঠে,

হাঁকো, হায়দেরি হাঁক,গুরিয়ে যাক সব,

রক্তমাখা মাঠে থেকে যাক ন্যায়,

নীল আকাশে উড়ুক ঝান্ডা ন্যায়ের,বেঁচে থাক ন্যায় মাঠে।

∞∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি- 

পেশা চাকুরী, (অ—–ব:)-সুবেদার/প্লাটুন কমান্ডার, চাকুরী পাশাপাশি খুব ছোট থেকে লেখালেখির অভ্যাস ছিল। জন্ম ১৫-৬-১৯৬৬ ইং, এক সময় বিভিন্ন পত্রিকাতে নিয়মিত কবিতা প্রকাশিত হতো। বর্তমান অনলাইন পত্রিকাতে লেখালেখি করছি। ১ নং ওয়ার্ড, মাদ্রাসা পাড়া, পৌরসভা, ঠাকুরগাঁও সদর, ঠাকুরগাঁও।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*