যুগের অভিশাপ

-আব্দুল ওহাব

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

যুগের ভেল্কি দেখি নব রাজারা এলে

নব উদ্যোমী রাজারা মন্দ বুদ্ধি খেলে।

ফন্দি এঁটে নির্দোষীকে দিয়ে দেয় জেল

তব ভাগ্যে জোটে কষ্ট অভিশাপ খেল।

অন্যেরে পীড়নে দেয় কষ্ট করে ত্রাস!

স্বার্থসিদ্ধি উদ্ধারেতে করে সেই গ্রাস?

পীড়নের স্মৃতি লেখা রহে চিরকাল

স্বীয় পীড়নে সে ভোগে শীঘ্র দেখা হাল!

নির্মোহ নির্দোষ বন্দী হয় বহু লোক

সাময়িক কষ্ট ভোগে কাটে তার শোক।

নির্দোষ বিচারে কভু খাটে না’তো ফন্দী

নিভৃতে আলগা হয়ে করে তারা সন্ধি।

যুগ বদলে হাওয়া উল্টো পথে চলে

অবিচার নষ্ট বর্জ্র ইতিহাস বলে।

অবিচারী কারাগারে নিজে ভোগে পরে

ইতিহাস ভুলে যায় আপনার তরে।

আজ হলে বেপরোয়া কাল পায় সাজা

কারাগারে পঁচে মরে বাঁকা হয় মাজা।

অনাচারের যুগ শেষে আসে তেজী সূর্য

ততক্ষণে নির্দোষীর বেজে ওঠে তূর্য।

বেদনার যুগ শেষে ফিরে আসে সুখ

চিরকাল ভোগে না’তো নির্দোষী দুখ।

অত্যাচারী আপনারি কারাগারে ভোগে

রোগ-শোক মুসিবত শরীরের রোগে।

যুগের ধর্ম নিশ্চুপ লিখে রাখে কর্ম

ভালো-মন্দ হিসাবেতে বোঝে তয় মর্ম।

মন্দ যুগ শেষ হলে লঙ্কাকাণ্ড বাজে

কৃতকর্ম ভেল্কিডঙ্কা অভিশাপ সাজে!

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
পরিচিতি :

কবি মো: আব্দুল ওহাব, পিতা মৃত: মো: ছালেক উদ্দিন আকন্দ, মাতা: মৃত মোসা : রেজিয়া বেগম। গ্রাম : নারচী, উপজেলা : সারিয়াকান্দী, জেলা: বগুড়া। জন্ম: ১৯৭৬ সালের ১৫ই জানুয়ারী। দশম শ্রেণির ছাত্র অবস্থায় প্রথম কবিতা লেখেন। তার প্রথম কবিতার নাম: “পাপড়ি” জীবনে অসংখ্য কবিতা লিখেছেন।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*