জননী সর্বংসহা

-বিজয়া মিশ্র

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

মা ,তুমি চির বিস্ময়ের প্রতিমূর্তি

তোমায় যত দেখি ততই ভাবি ধরিত্রীমাতার সর্বংসহা রূপ

চিন্ময়ী রূপে সমস্ত অঙ্গ দিয়ে আগলাও অস্তিত্ব আমাদের।

একা, একেবারে একার লড়াই তোমার

অভিব্যক্তি প্রকাশের প্রয়োজন বোধ করোনি কোনদিন,

তোমার আলেখ্য লিপিবদ্ধ হয়

পথের রুক্ষতার আলিঙ্গনে, বৃক্ষের দীর্ঘশ্বাসে, আকাশের কান্নায়,

তোমার ঔদার্যের সীমাহীন প্রান্তরে লুটিয়ে পড়া স্বপ্নেরা

যার নাম দিয়েছে সহনশীলতা।

তুমি ব্যক্ত করার সময় কোথায় পাবে

যখন অভিব্যক্তির নিদারুণ যন্ত্রনা সয়ে একলা আঁকড়ে লালন করো অপত্যের সবটুকু,

যখন প্রত্যাশা পূরণে ঘড়ির কাঁটা তোমায় এগিয়ে নিয়ে চলে

এক থেকে বহুধায়

তখনও তুমি কী অবিচল, সংকল্পে, নিষ্ঠায়, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

দিনরত্রির শ্রমকথাই তোমার একান্ত নিত্যযাপন, একাগ্ৰ চয়ন,

রাজপথ থেকে গলিতে সর্বার্থসাধিকা তুমি।

তোমার প্রশংসা হয়না, হয়না মূল্যায়ন

আটপৌরে জীবনের প্রজ্ঞায় দিনশেষেও তোমার ক্লিষ্ট মুখাবয়বে খুঁজে পাই সন্ধ্যাদীপের স্নিগ্ধতা ।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি-

বিজয়া মিশ্র পাহাড়ী র জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই আমার কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*