শান্তি আসুক ধরায়
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
জন্ম আর মৃত্যু, চিরসত্য, চিরশ্বাশত,
যেমন ফুল গাছে গাছে ফোটে,
দিগন্তে সূর্য ওঠে লাল টুকটুকে
নদীর বুকে জোয়ার ভাটা ঘটে।
যা নিরন্তর, ঈশ্বর আর প্রকৃতি,
সবই সুন্দর,আলো আঁধারের খেলা
সূর্য অস্ত যায় গোধুলিবেলা
পাখিরা নীড়ে ফেরে, নয় একলা।
একটা সুন্দর সকাল, ভারী মিস্টি,
বৈষ্ণবীর লোকগান, একতারা হাতে,
হারিয়েছি সে অতীত স্নিগ্ধতা,
আজ জীবন, বড় ব্যাস্ত, দিনেরাতে।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর “ফুল আর শিশু”
ওদের কোন শত্রু হয়না, সবাই ভালোবাসে,
কিন্তু দেখ, মৃত্যু কি নির্মম, নিষ্ঠুর,
প্রাণটা নিয়ে যায়, নির্মম পরিহাসে।
ইসরাইল আর প্যালেস্টেইনের যুদ্ধে,
প্যালেস্টাইনের শিশুরাও মৃত্যু পথযাত্রী,
ওখানে ভাঙ্গা টেবিল, চেয়ার কিছু নেই,
গান ছিল, হাসি ছিল, আজ শ্বশান রাত্রি।
মৃত্যু চাইনা, চাইনা ধংস, চাই কিছু সৃষ্টি,
যে সৃষ্টিতে আছে, জীবনের স্পর্শ অনুভূতি,
আসুক অঝোরধারায়, পৃথিবী জুড়ে শান্তির বৃষ্টি,
পরিতৃপ্তিতে হোক, রাগ মেঘমল্লারের, দীপ্তিময় জ্যোতি।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।