গাঁয়ে নিমন্ত্রণ
-রবি বাঙালি
∞∞∞∞∞∞
ইট পাথরের এই শহরে
ভাল্ লাগে না মনে,
পরান পাখি পড়ে থাকে
আমার গাঁয়ের সনে।
তাই তো আমি যাচ্ছি ফিরে
মায়া ভরা গ্রামে,
যাবে কি ভাই আমার সনে
মাতৃ প্রেমের ধামে?
আয় সখা আয় যাবে সাথে
আমার সবুজ গাঁয়ে,
ঘাসের শিশির ভাব জমাবে
জড়িয়ে তোর পায়ে।
ঘর গুলো সব টিনের চালা
উঠান কোণে গোলা,
খেজুর পাতার মাদুর পেতে
খেতে দেবে পোলা।
গাঁয়ের ধারে চিতল বিলে
হরেক মাছের ডেরা,
মাছের নেশায় ডুবে গেলে
হয় না ঘরে ফেরা।
গ্রীস্মকালে বটতলাতে
মিষ্টি শীতল ছায়া,
প্রাণ জুড়বে বাঁশরিয়া
সুরের যাদু মায়া।
বনে বনে প্রাণের পাখি
ডাকে মধুর স্বরে,
ইচ্ছে করে ছুটে যেতে
রয় না যে মন ঘরে।
সুখে দুখে গলাগলি
থাকে সকল জনে,
ভালোবাসার মধুরতা
মাখিয়ে দেয় মনে।
গাঁয়ের বধূ জলকে চলে
খলসিডাঙ্গার ঘাটে,
সোনার শস্যে ভরে আছে
আমার গাঁয়ের মাঠে।
গাঁয়ের মেঠো পথের ধারে
বনজ গাছের সারি,
বাগান ভরা আম্র লিচু
মনটা নেবে কাঁড়ি।
নদীর বাঁকে কলমিলতা
চরে কাশফুল দোলে।
হংস মিথুন সারাবেলা
খেলে দীঘির জলে।
নদীর বুকে ভাটি গানে
দাঁড় টেনে যায় মাঝি,
সঙ্গে যাবে বন্ধু আমার?
গাঁয়ে যাব আজি।
∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি :
রবি বাঙালি। প্রকৃত নাম মো. রবিউল আউয়াল। মোছা. হাজেরা খাতুন ও মো. তছলিম উদ্দিন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৭৫ সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্তর্গত নিতাইনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।বগুড়ার সান্তাহার এস এম আই একাডেমি হতে ১৯৯২ সালে এস এস সি, চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজ হতে ১৯৯৪ সালে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও এমএ( দর্শন) ডিগ্রি ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর ২৪ ব্যাচের একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি কলেজে যোগদানের মাধ্যমে অধ্যাপনা শুরু হয়। তিনি রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ,কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজ, ভোলা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ,সান্তাহার সরকারি কলেজ, বগুড়া, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ, হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ, নোয়াখালী, নীলফামারী সরকারি কলেজ কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ, ঠাকুরগাঁও এ সহকারী অধ্যাপক (দর্শন) হিসেবে কর্মরত আছেন।তিনি নিতাইনগর হাজেরা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাডেমিক ও গবেষণামূলক বহু গ্রন্থ প্রণেতা।তিনি প্রবন্ধ, গল্প,কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাস লেখেন যা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি হাজেরা ফাউন্ডেশন এর মূখপত্র ‘ লিটারেচার রিভিউ ‘ শীর্ষক জার্নালের সম্পাদনা করেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘খলিশাডাঙ্গার কন্যা ‘, দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ‘উলঙ্গ সভ্যতা’ এবং তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ জাগো বসন্ত জীবন বসন্ত গানে ‘।