তাজমহল
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
আজ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছি আমি
কতশত প্রজন্ম পরে দর্শনীয় তাজমহল।
আগ্রায় প্রবাহিত যমুনা নদীর কিনারে
হয়তো কোন রৌদ্র করোজ্জ্বল সূর্যোদয়ের বিহানে
নয়তো স্নিগ্ধ শীতল জ্যোৎস্না স্নাত চাঁদনী কিরণে।
সম্রাট শাহজাহান, মমতাজ বেগমকে সাথে লয়ে
একদা কাটিয়ে ছিলে দোঁহে প্রেমের মৌতাতে
স্মৃতির ইতিহাসে আজ সকলি সৌধ হয়ে আছে।
কত সহস্র কারিগর শিল্পীর রক্ত ঝরানো হাতে
আজিও অপূর্ব সৃষ্টির স্থাপত্য শিল্পকলা
বন্দিত বিশ্বের বিস্ময় রূপে বেঁচে আছে।
তাদের প্রেয়সীরা হয় তো এখনো
দুঃখের ইতিহাসে বিনিদ্ররাতের
দুঃখভরা কাহিনীর রাতকথা হয়ে গেছে।
তাজমহলে শুধু নবাব বেগমই শায়িত নেই
সেই সব অগণিত কারীগর শিল্পীর লাসের
অতৃপ্ত আত্মারাও আজ বিরাজ করিতেছে।
তাদের স্মৃতি বিজড়িত সৌধের অনবদ্য শিল্পকর্ম
অলংকরণ মানুষের মননেই বেঁচে আছে, থাকবে
অনুভব করতে হবে ইতিহাসের কোরা পাতা ঘেঁটে ঘেঁটে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
একক কাব্য গ্রন্থ ‘ অনুভব ‘ ‘ অনুরণন ’ ও ‘অপরাহ্নের প্রেয়সী ‘ ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , ‘ অনুরাগ ‘ ( হাইকু শৈলীতে ) , ‘ অনুভূতি ‘ ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , ‘ অনুভা ‘ ( অনুভাষ শৈলীতে ) প্রকাশিত হয়েছে । রাজ্য দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা সাহিত্য সাধনায় ব্যাপ্ত রয়েছেন।
রুক্ষ মাটির ঊষরতা কবিকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী, মধ্যবয়সে এসে জীবন বোধে স্থিতপ্রাজ্ঞ হয়ে জীবন সম্পর্কে কবির বহুবর্ণীল অনুভূতি মালা সদ্য প্রকাশ পেয়েছে ” অনুভাবিত ” বিশেষ কবিতা সংকলনে।