ভালবাসা ও ভাললাগা

-তনুশ্রী বসু (পাত্র)

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

জীবনটা বড় বিচিত্র, অভিজ্ঞতা দিয়ে,

চলছে দিনের পর দিন,

শৈশব থেকে কৈশোর তারপর ধীরে ধীরে

যৌবন একরাশ আনন্দ রঙিন।

তোমার সাথে আলাপ হয়, কলেজ জীবনে,

সেই স্মৃতি আজও স্বচ্ছ,

খুশীর সে দিনগুল, ভীষণ কষ্ট দেয়, বেদনায়,

আমি তোমার কাছে ছিলাম তুচ্ছ।

প্রথমে শুধুই আলাপ, হাসির বিনিময় হয়,

তুমি চিরকালই, স্পট বক্তা ছিলে,

আমি অনুভূতিতে, বুঝতাম, অল্প স্বল্প,

পরে জীবনে, প্রেম হয়ে এলে।

“প্রেম” কি? সে কি শুধুই অনুভূতি? না অন্য কিছু,

হয়তো বা এক দুর্নিবার আকর্ষণ,

শব্দে তাকে প্রকাশ করা যায়না, অনুভব করতে হয়

ব্যাপারটার, ঠিক কেন্দ্রবিন্দু, দুটি “মন”।

যেমন ভালোবাসা আর ভালোলাগা এক নয়

ভালোলাগা শুধুই ভালো লাগাই,

ভালোবাসা মানে সুখ, দুঃখ আনন্দ, ব্যাথা, বেদনায়,

সবসময় ভালোবাসার মানুষের পাশে থাকা।

ভালোলাগায় চোখ, তৃপ্তি পায়, পরিপূর্ণ ভাবে জানি,

আজকের দিনে অনেকেই পার্থক্য জানেনা, ভালোবাসায় দুইয়েরই পরিতৃপ্তি হয়, উভয়ের শান্তি,

ভালোবাসা দুর্নিবার, কোন বাধাই সে মানেনা।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি:-

আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*