তুমিও আমার আমিও তোমার
-মীর সেকান্দার আলী খোকা
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
যতটুকু আলো দেখি চোখে সবটাই যেন পথ,
সেই পথে আরো পথ খুজি, খুঁজি কা’ল রাত।
আঁধার ভাসে চোখে, ভাসে অতীত আলো
সু’দুরে ভেসেছে শোষণের তরী,ঘৃণিত শাসক যত।
ঘৃণা ভরে গোপন চোখে দেখি তাদের শোষণ-
খুশি হই ভেবে, ঘূর্ণি স্রোতে ডুবেছে ওরা,
কালজয়ী বেঁচে আছি আমি আমার খেয়া ঘাটে।
আমার পথে রক্ত ঝরাতো যারা,ছড়াতো কাঁটা দুর্গন্ধে, তাঁরা নেই।
জমিয়েছে পাড়ি হাজার মাইল,লক্ষ মাইল দূরে,
যাবার সময় রেখে গেছে আঁচড়ে আঁকা,
মাঠ জুড়ে কালো হাত।
অথচ এখনো তাদের তাবেদারি করি বহি নির্লজ্জের খেয়াঘাট।
বন্ধু ভাবি সবাইকে আমি আমাকে ভাবেনা কেহ,
আমি যেন এক গহীন পথের আঁধার পোড়া-
আঁধার পেরোতেই আজও খুঁজি সোনালী অতীত,
সোনালী মানুষ গুলো।
বর্গী গেছে আফগান গেছে,গেছে ব্রিটিশ-খাঁনসেনা,
অতীত থেকে জেনেছি আরো ইশাখাঁ-মানসিংহে
দিল্লিনীতি এই বাংলায় চাপিয়ে দেয়া আকবরের সিদ্ধান্ত।
মানেনি সে’সব কখনো এ দেশ হুংকারী উঠেছে জেগে,
যুদ্ধ হয়েছে চাপিয়ে ভর,পরাজিত হয়েও
শূন্যহাতে ফিরেনি শত্রু,ফিরেছে ঈশাখাঁর মহানুভবতা নিয়ে।
বন্ধু-আমি কাহারো নই, আমি আমার, আমি মানুষের,
আমি ঈশ্বরের।
ঈশ্বরের পিঠে করি ভর,ভেসে চলি ঈশ্বরের পিঠে,
উড়াই ঝান্ডা মানবতার- ন্যায়ের।
আমি আলো খুঁজি অতীতের আলো থেকে,
পথ খুজি আঁধারে ঢেকে যাওয়া পথ থেকে।
অভিযান ভালোবাসি ন্যায়ের,
ঘাড়ে হাত রাখি দুর্বৃত্তদের,মটকাতে,কোন অসভ্য দেবতা হয়ে।
বর্বর নই আমি,চাপিয়ে দেইনি জুলুম আছে ইতিহাসে,
জালেমের জুলুম চেপেছে বহুবার এই বাংলাতে।
মনে মনে আজও অঙ্কিত হয় আফগান হতে বার্মা,
চিহ্নিত করি স্রোতে ভেসে যাওয়া সেই বাড়ি ফিরে পেতে।
আমিও হেঁটেছি বাংলা বিহার উড়িষ্যা জনপদে,
আমারও ছিল একটা সবল সুন্দর পরিচিতি।
সে সব হারিয়েছি,মাথাব্যথা নেই,আছে রণনীতি কিছু,
যেখানে যে আছি ভাই ভালো থাকি তাই নিয়ে।
তুমিও আমার, আমিও তোমার,
বলেছে ঈশাখাঁ-মানসিংহের শ্রেষ্ঠ নিতির শেষ রণ নীতিতে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
পেশা চাকুরি, (অ——–ব:) জন্ম: ১৫-৬-১৯৬৬ ইং, ছাত্র জীবন থেকেই লিখার অভ্যাস ছিল, এক সময় রাজশাহী, ঢাকা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও থেকে বেশকিছু পত্রিকায় নিয়মিত লিখা প্রকাশ পেত। বর্তমানে কিছু অনলাইন পত্রিকাতে লিখছি , বিশেষ করে কবিতার পাতা এবং সাহিত্যের পয়গাম পত্রিকার নামটি উল্লেখযোগ্য। (ঠাকুরগাঁও সদর)