নামাঙ্কিত একটি কবিতা

-অভিজিৎ হালদার

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

আশ্রয়হীন সমাজ থেকে উঠে এসে

প্রশ্ন রেখেছি নিরিবিলি ধ্রুবতারার কাছে

কিন্তু জবাবহীন ধ্রুবতারার নিরন্ন হৃদয়।

আমার নামাঙ্কিত একটি কবিতা নির্জলা রোদে

পরাধীনতার ভিতর থেকে বিষাদ খুঁজেছে

এই সমাজের মানুষের মুখ থেকে।

আমার নামাঙ্কিত একটি কবিতা সীমাহীন

উত্তর খোঁজে নৈরাজ্যের।

হৃদয় নিকানো গোবর মাটি জল দিয়ে

গুপ্তচরের ঘরে স্তর জমেছে বেনামী আঁধারে।

সাদা কাগজের উপর লেখার যে জীবন চারুলতার নামাঙ্কিত কবিতা

তার বাসস্থান বায়ুশূন্য রক্তের ভিতর উৎসর্গিত।

এই সমাজে যাদের মুখে দুমুঠো অন্ন জোটেনা

তাঁদের মুখে অন্ন জোগানোর জন্য আমার এই নামাঙ্কিত একটি কবিতা উগ্রআদর্শবাদে।

পরাধীনতার আগুনে যাদের ঘর জ্বলে গেছে পুড়ে গেছে

তাঁদের হৃদয়ে বিষাদের দুচোখ থেকে বৃষ্টি নামিয়ে

একটুখানি সান্ত্বনা জোগানোর জন্য আমার এই নামাঙ্কিত একটি কবিতা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

জীব আদর্শে বেড়ে উঠে

মানুষ যখন মানুষ হতে পারে না

তখন আমার এই নামাঙ্কিত কবিতা

প্রতিবাদে গর্জে ওঠে শোষণের বিরুদ্ধে।

সমাজের সমস্ত সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য সাগরের বুকে ভাসিয়ে দিয়ে

মৃতপ্রায় মানুষের জীবন ভরে উঠুক প্রফুল্লের স্নেহে।

কোনো এক বিদুষী নারীর জঠর থেকে জন্ম হোক

আদর্শ পুরুষ কিংবা নারীর

তারপর এই পৃথিবীর প্রান্তরে প্রান্তরে

প্রাণ ভরে উঠুক আধিপত্যের সূর্যে

আর আমার এই নামাঙ্কিত একটি কবিতা থেকে

জন্ম হোক শত শত কবিতার।।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

লেখক পরিচিতি:-

জন্ম:- লেখক অভিজিৎ হালদার এর জন্ম নদীয়া জেলার অন্তর্গত হাঁসখালী ব্লকের মোবারকপুর গ্রামে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে।

পিতা:- কার্ত্তিক হালদার

মাতা:- আরতি হালদার

শিক্ষা:- মোবারকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় , ভাজনঘাট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিভাগের অনার্স স্নাতক।

লেখালেখির সূএপাত: স্কুল জীবন থেকে।

লেখালেখি:- বিভিন্ন – পএ পত্রিকা, ম্যাগাজিন , ওয়েবজিন, ফেসবুক পেজ/ ফেসবুক গ্রুপ , ব্লগসাইট , ওয়েবসাইট , অনলাইন প্লাটফর্ম , এছাড়া বিভিন্ন ফোরামে।

বই:- “প্রথম আলো”(২০২১)

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*