হঠাৎ দেখা
-হাসান জামান
≈≈≈≈≈≈≈≈
আস্কারা দিলেই মানুষ মাথায় উঠে
তোমাকে নিয়ে ভাবার আর কিছু নেই।
আসলে দিন শেষে মানুষ সবাই একা!
পাখির মত অপার আকাশ ছেড়ে ফিরে আসে
একা আপন নীড়ে। তোমার ঠোঁট কাঁপছিলো তীব্র শীতে!
আচমকা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন ছেড়ে গেলো
স্টেশন ! শহরময় রটেছে নিখোঁজ খবর!
মীরা চলে গেছে শহর ছেড়ে! পেরিয়ে গেছে
নগর বন্দর গ্রাম মাস রাত্রি বছর!শোকার্ত বন্ধুরা
কয়েক কাপ চা খাইয়েছিল লিচু তলায় উল্লাসে!
কেউ কেউ বল্লো ছুঁড়িটার রুপের দেমাগ!
ও আত্ম হত্যা করুক তাতে কার কি!
ওর গালে দু’ঘা দিলে মনের সাধ মিটতো।
সে আর কখনোই ফিরবেনা !
শোকার্ত নাগরিক সভা রায় দিলো নিরিহ ছেলেটা প্রতারিত!
ছোট্ট একটা দেশ! এমনকি একই শহরে
তুমি আর আমি ছিলাম পাশাপাশি!
ভেবেছি কতোদিন আর হবে না দেখা
কি সুন্দর নিয়তির লেখা!
নিয়তি চক্রে অবাক বিষ্ময়ে
দেখা হলো ফের অচেনা স্টেশনে, মুখোমুখি!
নির্বাক অবয়বে বিষ্ময়ভরা চন্দ্রিমা মুখে।
এখন কে হাটেঁ মীরা তোমার পাশাপাশি
ক্যাম্পাসে -প্যারিস রোডে! কে সামলে রাখে
খোলা রোদে ঝলসে ওঠা অগ্নি কন্যা তোমাকে।
শীতের বৃষ্টিতে কে ধরে ছাতা তোমার মাথায়
তোমার চুলে বিলি কাটে কোন সুয়াচান পাখি –
কোন আকাশের ফোটে তারা তোমার মনে!
তুমি চলে গেলে ধীর পায়ে শুধু তোমার তীক্ষ চোখ
কাটলো আঁচড় মনে বিড়ালের নখে বার বার
হায় বিধি আজো সে হলো না আমার!!
≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি ঃ
হাসান জামান এর প্রকৃত নাম মুহঃ হাসানুজ্জামান। জন্ম ১৯৬৭ সালের ৯ ই জানুয়ারী নওগাঁ জেলায়। পিতা মু.নজরুল ইসলাম ও মাতা ওলিমা বেগম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স ও এল এল বি ডিগ্রি অর্জন শেষে ব্যাংকিং জীবন শুরু করেন। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান হিসেবে দিনাজপুর শাখায় কর্মরত আছেন। ছাত্র জীবন থেকেই লেখা লেখির সাথে জড়িত।