ব্যবসা জমলো বুজরুকিতে

-আবুল হাসমত আলী

≈≈≈≈≈≈≈≈

ফ্যারাডে, এডিসন, আছেন আরো অনেকে,

উল্লেখযোগ্য তাদের আবিষ্কার বিশ্বের বুকে,

অসাধারণ তাদের অবদান বিদ্যুৎ বিভাগে,

স্মরণীয় তারা সভ্যতার বিকাশে সর্বযুগে।

তাদের চেষ্টায় এসে গেল যেই বিজলী বাতি,

থেমে গেল সাঁকচিরুনিদের মাতামাতি।

সবার মনে জাগল সে কি দারুণ ফুর্তি,

সাহস সবার ভীষণ বাড়লো রাতারাতি।

গান ধরে সব, হাত পা ছুড়ে নৃত্য করে,

ঘুরছে সবাই আপন আপন কাজের তরে।

তার মাঝে আবার হলো এ কী?

বোধগম্য হচ্ছে না এ কার গলা এমন মেকি?

সুরটা তার শোনাচ্ছে বড্ড নাকি,

অনেকে তাই ভয়ে করছে হাঁকাহাঁকি।

ও পাড়ার ওই বাণী শুনি হয়েছে সাঁকচিরুনি,

তাই শুনে সব খাচ্ছে খুব নাকানি চুবানি।

কেউবা একটু সাহস দেখায়,

করে না মোটেও সে ভূতের ভয়।

ভূত বলে পৃথিবীতে কিছু কি আছে?

ধ্যাৎ!যত সব গল্পকথা, সব ডাঁহা মিছে।

কিন্তু ওঝারা দিচ্ছে ঝাড়া, মন্ত্রপড়া,

তাই নিয়ে হচ্ছে জল্পনা কত মনগড়া।

এখন যুক্তিবাদীরা সব কোথায় গেল?

সাঁকচিরুনির ভয়ে নাকি বেকুব হলো?

ছুটল সবাই ভন্ড বাবার তাবিজ নিতে,

ব্যবসা আবার জমে উঠলো বুজরুকিতে।

≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*