ঘুন্টি পিসি
-আবুল হাসমত আলী
∞∞∞∞∞∞∞∞
সবার কথা বলার শেষে আমার কথা বলি,
সরল আমি দুষ্টু আমি সবার সাথে চলি।
রানীর মত মেজাজ আমার ঠোঁটে লিপস্টিক ঘষি,
হাসলে পরে আমায় দেখায় যেন ঘুণ্টি পিসি।
ঘুণ্টি পিসির পরিচয়টা একটু তুলে ধরি,
যখন তখন গলা ছাড়ে করে বাড়াবাড়ি।
তাকে দেখে কেউবা হাসে কেউ কাটে টিপ্পনি,
শোনার জন্য অপেক্ষায় রয় কখন দেবে বাণী।
ঘুণ্টি পিসির মনের মাঝে কত কি যে ঘোরে,
কেউ জানে না সে সব জানতে সুধায় আমি কারে?
ঘুণ্টি পিসি পিসি হলেও সেকেলে নয় মোটে,
তা জানা যায় তার দুরন্ত স্কুটারের গতিতে।
ঘুণ্টি পিসি কথায় কথায় ‘এই গো’_ বলে ওঠে,
সঙ্গে সঙ্গে সবার নজর পিসির দিকে ছোটে।
সবাই তখন হাঁ করে রয় ঘুণ্টি পিসির দিকে,
ঘুণ্টি পিসি মুখটি খুললে সবকিছু হয় ফিকে।
ঘুণ্টি পিসির খাবারের চাট চোখে পড়ার মত,
চকচকে গোল টিফিনে সেসব থাকে যত।
খাবে নাকি তোমরা এসব?_ বলেই ভাগে সটাং,
ঘুণ্টি পিসির চিরকালের এই হচ্ছে মোক্ষম ঢং।
তারই মাঝে ঘুণ্টি পিসি মাঝেমধ্যে দরাজ,
টিফিনের কিছু অংশ ভাগ দিয়ে করে তোয়াজ।
সবাই তখন গদগদ এমন ব্যবহারে,
তার মাঝে সে ‘সময় নেইকো’_ বলে আফসোস করে।
ঘুণ্টি পিসির আরেক বাতিক ধর্মের ব্রত নিয়ে,
কোন নিয়মটা কখন দরকার ব্যস্ত তা পালনে।
ঘুণ্টি পিসি ভুলো মনের সক্রেটিসের মত,
দর্শন কথা মনের মধ্যে গজ গজ করে কত।
কার যে কখন কোন জিনিসটা নেবে আপন করে ,
তা নিয়ে সে আবার হয়তো রাখে মাথার ‘পরে।
এমনিভাবে দিন কেটে যায়_ এ এক ভ্রান্তিবিলাস,
ফ্যাকাসে মুখ বোকা হাসি হাসে সে নিরলস।
সবার প্রিয় ঘুণ্টি পিসি, এসেই দেয় হুংকার,
মাঝেমধ্যে তাকে নিয়ে জোকস হয় বেশ চমৎকার।
∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি