যুগ পুরুষ
-রাজীব কুমার দাস
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কভু একাকী হারাবো ধূসর সন্ধ্যা লগনে
বৈরাগী ভাবনায় অস্তিত্ব লুটাবো ধূলোয়,
নি:শ্বাসে বয়ে যায় চঞ্চল বসন্তের বাউড়ী বাতাস
অলীক স্বপ্নে তব খুঁজে ফিরবো নিগূঢ় অমরত্ব।।
আঁধার রাজ্য করেছে জয় বিদ্রোহী অববাহিকায়
নিদ্রা দেবীর শাসন জলে স্থলে অন্তরীক্ষে,
ভাবনারা মেলেছে পেখম উড়ে যাবে দূর বহুদূর
অজানা মোহে অর্নিবান সংঘর্ষ বহুকাল আমার আমিতেই।।
শ্রদ্ধার অঞ্জলি করছি নিবেদন পুষ্প পল্লবে
মুগ্ধতার ডালি সাজাই অবিনশ্বর বাসনায়,
অশ্রুস্নানে আমায় করবো বিলীন কৃষ্ণ গহবরে
সত্যের অমৃত ধারা বইবে প্রতিটি শিরায় উপশিরায়।।
আমি মহাশূন্যে দেবো পাড়ি ব্রক্ষ্ম ন্ড জয়ে
ছুঁয়ে যাবো সুবিশাল পর্বত, তের নদী, মহাসমুদ্র,
গ্রহ-নক্ষত্র ছুঁয়ে হবে বিলীন ঈশ্বর ত্যাগী আত্মা
শতাব্দি রচিবে বিবর্তন যুগ থেকে যুগান্তর।।
বক্ষ জুড়ে সঞ্চিত শুদ্ধপ্রান শুভ্রতা
অতৃপ্ত তৃষ্ণায় হাহাকারে আমারি কক্ষপথ,
পাষান বেদনায় গড়বে ইতিহাস অনন্ত প্রতীক্ষায়
কালজয়ী আমি আবার ধরায় ফিরবো নব আঙ্গিকে।।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
জন্ম ৩১ ডিসেম্বর এক মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারে। বাবা সরকারী চাকুরে এবং মা ছিলেন গৃহিনী। শৈশবে মায়ের হাতেই হতেখড়ি তারপর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের পথ পেড়িয়ে রসায়নে সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করতেই একটি স্কুল এন্ড কলেজে পার্টটাইম (রসায়ন)শিক্ষকতা করেন এবং পরবর্তীতে এমবিএ (ফিন্যান্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার পাশাপাশি বই পড়া ছিল অন্যান্য শখগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০১০ এ একজন সরকারী চাকুরে হিসেবে নিজেকে স্থীর করেন এবং কবিতা ও অনুগল্প নিয়ে লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। সম্প্রতি বইমেলা-২০২৩ ও ২০২৪ এ প্রকাশিত হয়েছে দুটি সমকালীন উপন্যাস নিশিকুমারী ও নিকুঞ্জ নিকেতন। মিশুক স্বভাব ও ভ্রমন পিপাসু মনের জন্য তিনি শুভাকাঙ্খি ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে বেশ প্রশংসিত।