বাংলা মায়ের দুরবস্থা
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
তুমি চলে গেছ প্রায় পঞ্চাশটা বছর ” কবি নজরুল “
সাম্যের কবি, বিদ্রোহী কবি,আজও মানুষ করছে ভুল।
তুমি বলেছ “কারার ঐ লৌহ কপাট ভেঙে ফ্যাল কর রে লোপাট “
দীর্ঘ দুইশত বছর ব্রিটিশ পরাধীনতার পর, আজও দেশে
অন্যায়,অত্যাচার,মানুষ করছে জানোয়ারের মত চোটপাট
স্বাধীন ভারতমাতা হচ্ছে ক্ষতবিক্ষত লাঞ্ছিত অপমানিত।
বাঙলার মাটি জল অপবিত্র স্বার্থ,লোভ, ষড়যন্ত্রের শিকার
কিন্তু অত্যাচারী, লোভী, ষড়যন্ত্রকারীর নেই কোন বিকার।
বাংলার মাটি, জল, বনানী তোমার দেখা সেই বাংলা নেই,
এখানে আজ বড় অশান্তি চলারপথে শুধুই চরাই উৎরাই
সোনার বাংলা আজ দাউ দাউ করে জ্বলছে, শান্তির ঠাঁই নাই।
কবি মৃত্যুর ও একটা রং আছে, ঝাপসা, ধোঁয়াটে বিবর্ণ
আমরা সবাই জীবিত অথচ মৃত, অন্যদিকে আনন্দের বর্ণ।
বড় ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, বিশ্রাম চাই, পথ চলতে চলতে বিভ্রান্ত
কবে মানুষের হুস, হবে, কবে? অপেক্ষা হবে স্নিগ্ধ শান্ত।
নিরপরাধ মানুষের জীবন চলে গেল, নিষ্পাপ শিশুরমৃত্যু
কবি, জাতের নামে বজ্জাতিতে মরছে মানুষ মানুষের শত্রু
বড় অসহায় লাগে, এ দ্বন্দ্বের শেষ কোথায়?
দেশটা ভেঙে চুরমার সম্প্রীতি নেই হেথায়, হোথায়!
বাংলার নদী, জল, গাছপালা, শরৎ এর কাশফুলের হাঁসি
দুচোখে বারিধারা, নেই শান্তি, জীবিত অবস্থায় ফাঁসি
চোর, জোচ্চোর, গুণ্ডা প্রকৃতি, মায়ের ক্রন্দন বানভাসি।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।