মহতী শিক্ষক দিবসে
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
আজ ৫ ই সেপ্টেম্বরের মহতী শুভ দিনে
শিক্ষকগণের কথা অহরহ আসে যে মনে।
শিক্ষক – ছাত্র সম্পর্ক কতই মধুর ছিল
খেলাচ্ছলে মনে জ্ঞানতৃষা জাগিয়ে দিল।
সেই ছাত্র জীবনের স্মৃতি আজিও পড়ে মনে
জীবন যুদ্ধে চলার পথে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
তাঁদের চরণ কমলে জানাই শতকোটি প্রণাম
বিস্মৃত হয়েছেন উনারা মোদের কেতাবি নাম।
দেখা হলেই স্ব হাস্য বদনে মোদের চিনতে পারেন
কেমন আছি? কি করছি? জেনে আশীর্বাদী হাত মাথায় রাখেন।
ভালোমন্দ বাক্যালাপে কাঁপা কাঁপা হাতের স্পর্শ লাগে
স্মৃতি পটে ফেলে আসা সেই শ্রেণি কক্ষের ছবি
জাগে।
সেদিনের মহান শিক্ষক উনাদের হয়তো কেহ কেহ
বয়সের ভারে আজ যাত্রা করেছেন স্বর্গের অমর ধাম।
গুরু জনের চরণে আজিকে শ্রদ্ধা ও প্রণতি জানালাম।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
একক কাব্য গ্রন্থ ‘ অনুভব ‘ ‘ অনুরণন ’ ও ‘অপরাহ্নের প্রেয়সী ‘ ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , ‘ অনুরাগ ‘ ( হাইকু শৈলীতে ) , ‘ অনুভূতি ‘ ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , ‘ অনুভা ‘ ( অনুভাষ শৈলীতে ) প্রকাশিত হয়েছে । রাজ্য দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা সাহিত্য সাধনায় ব্যাপ্ত রয়েছেন।
রুক্ষ মাটির ঊষরতা কবিকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী, মধ্যবয়সে এসে জীবন বোধে স্থিতপ্রাজ্ঞ হয়ে জীবন সম্পর্কে কবির বহুবর্ণীল অনুভূতি মালা সদ্য প্রকাশ পেয়েছে ” অনুভাবিত ” বিশেষ কবিতা সংকলনে।