সূর্য দিয়েছি তোমায়
-মীর সেকান্দার আলী খোকা
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কখন খুলেছিনু ডালা-
ডানা মেলে আনন্দলোকে,
স্বপ্নের মেঘমালা ভেদি
অনন্ত চরণ ছুঁয়ে, গীতি কবিতার মত
অবাধ স্বাধীনতা খুঁজি আজও।
একটা প্রহর কাটে অনন্ত সময় ধরে
এ তল্লাট থেকে ও তল্লাটে,
কাশবনে রঙিন স্বপ্ন খুঁজি শরীর চিরে
উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখি সূর্য উঠেছে কি!
কঠিন খরায় উত্তপ্ত রাত,দুর্ভিক্ষ কাঁদে রক্ত স্রোতে।
অসহায় সজাগ চোখ,
তীক্ষ্ণ কানে তুরির সংকেত শব্দ বুঝতে হয়েছে সে দিন,
পালা বদলের কঠিন বিরল সময়
নিমজ্জিত সূর্য বেদনার ছাপ রেখে
হাঁসি দিয়ে ওঠে জেগে।
সূর্য উঠেছে ভোরে-
কুসুম কুড়াতে কত নিশি কেটে গেছে,
কত পথ হেঁটেছে চরণ খেজুর কাঁটার বনে
আজ ও সে ক্ষত বেদনার সাথে জাগে।
সূর্য দিয়েছি তোমায়, তবু পরাজিত আমি,
পরাজিত আমি আমার ঘরে।
বাঁধন কেটেছে খোকা, নেশা, কি যেন ছুঁতে চায়,
যা ছুঁয়েছে তা চাওয়া নয়, যা চাওয়া তা ছোঁয়া নয়।
একটা কন্টকময় মায়াবী কন্ঠ খোকাকে ডাকছে,
নিতে ছায়াপথে, নিমজ্জিত করতে জলে।
বাঁশুরীর সুর যেন হ্যামিলনের বাঁশি,বাজিয়ে চলে পথে,
পিছে পিছে রং রসে পিছু ন্যায় শিশু।
অ’বোধকে বাঁচাতে পথে পথে পথিকবর কাঁদে,
শর্তচুকে হ্যামিলন ফিরে তবে।
স্বপ্নের নীল ভেঙে হ্যামিলন ছোটে অদৃশ্যে-
পাড় ভাঙে নদী,
পতীত স্বপ্ন কাঁদে,প্রশান্তি পেতে নীড় খোঁজে নতুন নীড়ে।
ছেড়া পালে ভাঙা হালে পুরাতন তরী আমার,
অনেক কষ্ট-যতনে ধরে রেখেছি তারে।
একটা সুদিন আসবে, আসবে কোন মাঝি ভালোবেসে,
গান গাইবে ভাঙা তরী ছেড়া পাল,
আমার এ সূর্য-ভাঙা নাও’য়ে কে তোরা আসবি আয়- আয়।
∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞