শরৎ সাজে ফুলে ফুলে

-জি.কে.শাফায়াত আলী

≈≈≈≈≈≈≈≈

আকাশ আজ সেজেছে শরৎ আগমনে,

যেন ঝির ঝির বাতাস বলছে কানে কানে।

হাতছানি দিচ্ছে নদীর পাড়ের কাশফুলে,

এসো হে ঋতু কন্যা বাংলা মায়ের কোলে।

দিগন্তে পাখনা মেলে উড়ে চিল,

সাদা বকের সারি নেমে ভরছে দেখি বিল।

ফুটেছে শালুক ও শাপলা ফুল ঝিলে,

আলতো পবনে ঢেউয়ে ডাকছে তারা দুলে।

কুমড়ো ও কলমিলতা তারাও সেজেছে ফুলে ফুলে,

শিউলি,কামেনির গন্ধে মাতোয়ারা ভ্রমরা পাখনা মেলে।

সোনালী আশ তারাও মাথা নাড়ে,

মনের আনন্দে বলাকারা যাচ্ছে বহু দূরে।

আকাশ-বাতাস তুলেছে শরতের সুর,

ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই কোন অচিনপুর।

প্রকৃতি এঁকেছে নতুন চিত্রের ফেম,

সোনার বাংলার ষড়ঋতু সকল কবিদের প্রেম।

≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি-

কবি শাফায়াত আলী ১৯৯৮সালে ১ম জানুয়ারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে গনিপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।পিতা আজিজুর রহমান মাতা মনোয়ারা বেগম তিনি ৬ষষ্ঠ তম সন্তান।তিনি বাল্যকালে মক্তবে পড়তেন এবং ইসলামিয়া হাক্কানীয়া কওমী ওয়েজখালী মাদ্রাসায় পাঞ্জম শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে মাদানীয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ৬ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়ন করেন।সপ্তম শ্রেণীতে এক দুর্ঘটনায় তার লেখাপড়ার অবসান ঘটে।আবার ২০০৯সালে তিনি সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন বুলচান্দ হাই স্কুল এন্ড মেনেজমেন্ট কলেজে।তখন থেকে তিনি ছন্দ লিখতেন ছন্দে ছন্দে বন্ধুদের সাথে কথা বলতেন।তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ দিতেন।তিনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান কর্মের পাশাপাশি তিনি লেখাপড়া করেন।তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন সুনামগঞ্জের পৌর ডিগ্রি কলেজে প্রথম বর্ষ লেখাপড়া হলেও ২য় বর্ষ দারিদ্র্যের জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি এতে তিনি লেখাপড়া বিদায় দেন।কিন্তু তার কলম থামেনা তিনি কলম সাথী কে চালিয়ে যান। তিনি ২০২২সালে বিভিন্ন পত্রিকায় সাহিত্যের সাথে লেখালেখি করেন।

ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারে তার লেখা কবিতা “সতর্ক বার্তা”সংগ্রামী বীর”তালের পিঠা”উপেক্ষিত প্রেম”।মাসিক বিদ্রুহী কবি সাহিত্য একাডেমিতে” গানিতিক সূত্র”কবিতা প্রকাশ পায়।

কবিতার পাতা ডট কমে :স্বামী- স্ত্রীর প্রেম, কবি কে নয় কবিতাকে, উদ্বিগ্ন হই, বহুরূপী বৈশাখ,শিয়াল শকুন,প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া ও রয়েছে তার অনেক গীতি গান তিনি গীতিকার ও কবি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*